যে বাসের চাপায় ঢাকায় দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে, তার চালক মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
Published : 01 Aug 2018, 07:07 PM
নিহত কলেজছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবার করা মামলায় এই চালককে বরগুনা থেকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের হেফাজতের আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা সাত দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলাটিতে দণ্ডবিধির ২৭৯ ,৩০৪ (খ) ধারার সঙ্গে ৩০৪ ধারায় মাসুম বিল্লাহর (৩০) রিমান্ড চান ডিবি পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম।
৩০৪ ধারার অভিযোগ হলে অপরাধজনক নরহত্যা। অর্থাৎ খুনের উদ্দেশ্য না থাকলেও হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
রিমান্ড আবেদনের শুনানির সময় নিয়ম অনুযায়ী এজলাসের কাঠগড়ায় তোলা হয়নি মাসুমকে। তাকে রাখা হয়েছিল আদালত চত্বরে পুলিশ ভ্যানে। শুনানিতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবীও ছিলেন না।
গত রোববার ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের ফ্লাইওভারের পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর উপর উঠে যায় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস। একই পরিবহনের আরেকটি বাসের সঙ্গে এটি পাল্লা দিচ্ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
বাসের চাপায় দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম নামে দুই শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এর প্রতিবাদে সেদিন ধরে সড়কে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এর মধ্যেই র্যাব জাবালে নূর পরিবহনের তিন চালক ও তাদের দুই সহকারী বা হেলপারকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। দুই চালক সোহাগ আলী ও জুবায়ের এবং হেল্পার এনায়েত হোসেন ও রিপনকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়।
বরগুনা থেকে মাসুমকেও ঢাকায় আনতে সময় লাগায় তাকে বুধবার তোলা হয় আদালতে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জাবালে নূর পরিবহনের অন্যতম মালিক শাহাদাত হোসেনকেও বুধবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরিবহন কোম্পানিটির ওই দুটি বাসের নিবন্ধন বাতিল করেছে বিআরটিএ।
এই ঘটনায় মামলাকারী দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলমও একজন বাসচালক, তিনি দূর পাল্লার বাস চালান। এই ঘটনার জন্য তিনি ঢাকার সড়কে বিশৃঙ্খলাকে দায়ী করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মাসুমের লাইসেন্স পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে তিনি হালকা গাড়ি চালানোর উপযুক্ত। ভারী গাড়ি চালানোর অনুমতি তার নেই।