খোদ পোপ ফ্রান্সিসের পৌরহিত্যে মুক্ত উপাসনায় অংশ নিতে এসে উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা।
Published : 01 Dec 2017, 11:57 AM
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আড়াই ঘণ্টার এই মুক্ত উপাসনায় অংশ নেয় বাংলাদেশের প্রায় আশি হাজার ক্যাথলিক।
এ আয়োজনের স্বেচ্ছাসেবক প্রান্ত মার্টিন ক্রুশ বলেন, সকাল ৬টার পর উদ্যানের ছয়টি ফটক খুলে দেওয়া হয়। সবাইকে ঢুকতে দেওয়া সকাল ১০টা পর্যন্ত।
“সারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ এসেছে। একজন একজন ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।”
এর আগে বাংলাদেশে রোমান ক্যাথলিকদের কোনো প্রধান ধর্মগুরু এসেছিলেন ৩০ বছর আগে, ১৯৮৬ সালে। সেই সময় পোপ দ্বিতীয় জন পলের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশের ক্যাথলিকরা।
তিনদিনের সফরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসেন পোপ ফ্রান্সিস। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বাংলাদেশের মানুষ ও বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় প্রার্থনা করেন তিনি; বক্তৃতা দেন যিশুর অনুসারীদের উদ্দেশ্যে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পোপের বাংলাদেশে আগমনে আমরা সবাই গর্বিত, আনন্দিত। কে কোন ধর্মের সেটা দেখার বিষয় নয়, আমরা সবাই স্রষ্টার সৃষ্টি। উনি বাংলাদেশে শান্তির বাণী, মানবতার বার্তা নিয়ে এসেছেন।
“তিনি শুধু ১৩০ কোটি ক্যাথলিকদের জন্যই নয়, তিনি সকল ধর্মের, সকল মানুষের।”
চম্পা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পোপ ফ্রান্সিস এসেছেন, উনি আমাদের প্রভু। সকলের মঙ্গল কামনাই আজকে এখানে আসার উদ্দেশ্য।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “প্রভু আমাদের দেশে এসেছেন, আমরা আনন্দিত। আমরা তাকে দেখতে এসেছি, তার আশির্বাদ নিতে এসেছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের বহুদিনের প্রতীক্ষা ছিল। বহু বছরের পর আজ আমরা প্রভুকে দেখতে পাব। সেজন্য আমরা আনন্দিত। তিনি শান্তির বার্তা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন।”
পরিবার নিয়ে গাজীপুরের কালিগঞ্জ চার্চ থেকে আসা রিকন রোজারিও বলেন, “পোপের দেখা পাব, এর জন্য সারারাত অপেক্ষায় ছিলাম। ভোর ৪টায় চার্চ থেকে প্রায় ১৩টা গাড়ি করে রওনা করে ঢাকায় পৌঁছাই। পোপকে দেখতে পেরেছি, এটাই আনন্দের।”
পোপ ফ্রান্সিসের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে। ক্যাথলিক পুরোহিত হিসেবে তার অভিষেক হয় ১৯৬৯ সালে। পুরো আমেরিকা অঞ্চল এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ তিনি।