অক্টোবর থেকে পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া ও কাজীরহাট ফেরিঘাটে কাগজের টিকিটের পরিবর্তে র্যাপিড পাস সিস্টেম চালু হচ্ছে।
Published : 01 Sep 2015, 10:09 PM
ডিজিটাল পদ্ধতির এই টিকিট চালু করতে মঙ্গলবার নৌ মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পরিচালক সুধাকর দত্ত, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রতিনিধি কোজি মিতো মোরি ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
নৌসচিব শফিক আলম মেহেদী এবং ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ হোসাইন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, র্যাপিড পাস সিস্টেম চালুর পর কাগজের টিকিট থাকবে না, টিকিটের জন্য যাত্রীদের কাউন্টারে অপেক্ষাও করতে হবে না। পাইলট প্রকল্প হিসেবে তিনটি ফেরিঘাটে ডিজিটাল পদ্ধতির টিকেট কার্যক্রমের মেয়াদ হবে এক বছর। এরপর সব ফেরিঘাটেই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
ডিজিটাল পদ্ধতির টিকিট চালু করতে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সফট্ওয়্যার এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনা ও অপারেটরদের প্রশিক্ষণের ব্যয় বহন করবে জাইকা।
শফিক আলম মেহেদী জানান, সব যানবাহন একবার র্যাপিড পাস নিয়ে রিচার্জ করে ব্যবহার করতে পারবে। যারা অনিয়মিত পারাপার হয় তারাও নির্ধারিত ফি দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে র্যাপিড পাস সংগ্রহ করতে পারবে। প্রতি সেকেন্ডে ১০ জন যাত্রী বিভিন্ন কাউন্টারে এই পাস ব্যবহার করতে পারবেন।
ডিটিসিএর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে র্যাপিড পাসের মূল্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ জানান, ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে রেল এবং বিআরটিসিতে র্যাপিড পাস চালু করা হয়েছে। একটি র্যাপিড পাসের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেকোনো যানবাহনে ভ্রমণ করা যাবে। মেট্রোরেল ও বাস র্যাপিড ট্রানজিটের ক্ষেত্রেও র্যাপিড পাস চালু করা হবে।
র্যাপিড পাস ব্যবহারকারীরা বিআইডব্লিউটিসি ও বিআরটিসির সব কাউন্টার থেকে কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
ভবিষ্যতে বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকেও এই কার্ড রিচার্জের সুযোগ রাখা হবে বলে জানান কায়কোবাদ।