মাগুরায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে মায়ের গর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আরও দুজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 03 Aug 2015, 06:03 PM
গ্রেপ্তার সাগর ও বাপ্পি এ ঘটনায় মাগুরা থানায় দায়ের করা মামলার ৭ ও ৮ নম্বর আসামি।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম।
এ নিয়ে এ ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে চার জন গ্রেপ্তার হয়।
গ্রেপ্তার অপর চার জন হলেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমন, নজরুল ইসলাম, স্থানীয় চা দোকানি সুমন মল্লিক ও মুদি দোকানি সোবহান।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জুলাই বিকালে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় সাবেক ছাত্রলীগকর্মী কামরুল ভূইয়ার সঙ্গে সাবেক যুবলীগকর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
এসময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও প্রতিবেশী মিরাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। কামরুলের চাচা আব্দুল মোমিন ভূঁইয়া গুলিতে নিহত হন।
ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। দুই দিন পর তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় একপক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন গুলিবিদ্ধ নাজমার দেবর কামরুল। গর্ভস্থ সন্তান গুলিবিদ্ধ হওয়ার এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় নিহত মোমিনের ছেলে রুবেল ভূঁইয়া ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় যে মামলা করেছেন, তাতে মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সেন সুমনকে করা হয়েছে হুকুমের আসামি।
সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। তবে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন ছাত্র ও যুবলীগের নেতারা এর দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।