ক্যালেন্ডারের পাতা ধরে এসেছে হেমন্ত; তবে তাপমাত্রা এখনও বাড়তির দিকেই।
Published : 17 Oct 2022, 12:33 PM
মৌসুমি বায়ু ধীরে ধীরে বিদায় নিতে শুরু করেছে; ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন হেমন্ত; এর মধ্যেই সাগরে লঘুচাপের আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলছেন, “আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। কাল বা পরশুর মধ্যে এটি হতে পারে এবং তা ধীরে ধীরে ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পরই আমরা পর্যবেক্ষণ করে বিস্তারিত জানাব।”
এর আগে চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসেও অধিদপ্তর জানিয়েছিল, অক্টোবরে একটি থেকে দুটি লঘুচাপ হতে পারে, যার একটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে।
কানাডাপ্রবাসী একজন বাংলাদেশি গবেষক সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম বা জিএফএস এর পূর্বাভাস মডেলের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে একটি সুপার সাইক্লোন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার খবর দেন।
বিষয়টি নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরেই সোশাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে নানা রকম খবর আসছে, তবে আবহাওয়া অফিস এ বিষয়ে পূর্বাভাস দিতে তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয়।
বজলুর রশীদ বলেন, “লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর তা ঘনীভূত হতে থাকলে ধীরে ধীরে এর গতি, দিক ও অন্যান্য তথ্য সুনির্দিষ্ট করে জানানো হবে। ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আগে চার-পাঁচ দিন সময় পাওয়া যায়; তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের সময়ও দিতে হবে।”
ভারতের আবহাওয়াবিদরা অবশ্য সুপার সাইক্লোনের সম্ভাবনা দেখছেন না। দেশটির জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ উমাশঙ্কর দাশের বরাতে পিটিআই লিখেছে, ২০ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ‘সাইক্লোনিক সার্কুলেশন’ গঠনের ইঙ্গিত তারা পেয়েছেন, তবে সেটা যে ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নেবে, সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
শীতের আমেজ নভেম্বরে
ক্যালেন্ডারের পাতা ধরে রোববার এসেছে হেমন্ত। দেশের কোথাও বৃষ্টি না থাকায় তাপমাত্রা বাড়তির দিকেই। দিনভর বেশ গরমই থাকছে।
সোমবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে এবং দেশের অন্যান্য জায়গা থেকেও তার বিদায় শুরু হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, “সামনে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস রয়েছে, এসময় তাপমাত্রা তুলনামূলক বাড়বে। পরে বৃষ্টির আভাসও রয়েছে।
“এখন উত্তরে হিম হিম ভাব চলে এসেছে। ঢাকা ও আশপাশেও এমন আবহাওয়া আসছে। নভেম্বরের দিকে শীতালু আবহাওয়া বিরাজ করবে।”
মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর বৃষ্টি থাকলে হেমন্তের হিম হিম আমেজও বাড়ে বাতাসে। এসময় শুষ্ক আবহাওয়ার দিনে গরমের পর রাতে শীতল আবহাওয়া দেখা যায়। ধীরে ধীরে ভোর রাতের হিমের আমেজও বাড়তে থাকে। সব ঠিক থাকলে নভেম্বরেই শীতের আগমনী জানান দেবে প্রকৃতি।