মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ‘বিপ্লব’ আনা বিকাশ এবার বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনেও অংশ নিয়েছে।
Published : 11 Oct 2018, 02:46 PM
বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল এ দুই সংস্থার আমন্ত্রণে বিকাশ এই সম্মেলনে অংশ নেয়।
তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্যোক্তারা কীভাবে মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে, আর্থিক লেনদেন সহজ করছে তার একটা প্রদর্শনী ছিল সম্মেলনে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিকাশসহ বিশ্বের ২০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে এই প্রদর্শনীতে।
‘২০১৮ ইনোভেশন শোকেস’ নামের এই প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পেরে খুশি বিকাশের কর্মকর্তারা।
বালির নুসা দোয়ায় ওয়েস্টিন হোটেলে চলছে প্রদর্শনী।
বৃহস্পতিবার সকালে বিকাশসহ কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এবং আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্দ।
বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের অর্নীতিতে যে বিপ্লব ঘটিয়েছি তা বিশ্ববাসী কাছে তুলে ধরতেই আমরা এ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছি।
“আমরা বিশ্ববাসীকে আমাদের সাফল্যের কথা জানাতে এসেছি।”
তিনি বলেন, বিশ্বের যে সব প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ইনোভেশনে (উদ্ভাবন) ভালো করেছে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছে সে সব প্রতিষ্ঠানই এ প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
মনিরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে এমন লোকের সংখ্যা এখন তিন কোটি। প্রতি দিন বিকাশের মাধ্যমে ৭০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
“প্রথমবারের মতো আমরা এমন সম্মেলনে অংশ নিতে পেরে খুবই খুশি। সম্মেলনে অংশ নিতে আসা বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আমাদের স্টল পরিদর্শন করে মুগ্ধ হচ্ছেন, অভিজ্ঞতা বিনিমিয় করছেন।”
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন নগরী বালি। সাগর, পাহাড় আর স্থানীয়দের বর্ণিল জীবন-যাপন সব মিলে বালি সেজেছে নতুন রূপে।
বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের সদস্য ১৮৯ দেশের প্রায় ১৫ হাজার প্রতিনিধি এসেছেন বালিতে। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বৈঠক করেন আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুলইয়ানি ইন্দ্রাবতীর সঙ্গে।
বুধবার থেকে সম্মেলন শুরু হয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ১২ অক্টোবর শুক্রবার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্দসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রীরা বক্তব্য দেবেন।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের প্রতিনিদিল এখন বালিতে অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের সবচেয়ে বড় এই সম্মেলনে এ দুই উন্নয়ন সংস্থার সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও বেসরকারি খাতের নির্বাহী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম ভাগে বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের এই সভা হয়। পর পর দুটি বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থা দুটির সদর দপ্তরে হওয়ার পর তৃতীয় সভাটি হয় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সদস্যভুক্ত অন্য কোনো দেশে।