রোববার ভোটের মাঝপথে দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল শফিকুর রহমান নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বয়কট করার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
শফিকুর রহমান নিজেও ঢাকা-১৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন।
বিবৃতিতে এ জামায়াত নেতা বলেন, “ভোটার ও সাধারণ জনতার উপর সরকারের অব্যাহত হামলায় জনগণের জীবন আজ বিপন্ন। সর্বত্রই চলছে সশস্ত্র মহড়া। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ তো দূরের কথা জান-মালের কোনই নিরাপত্তা নেই। এই একতরফা নির্বাচনকে কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না।
“তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর যেসব প্রার্থীগণ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন ঐ সব আসনসমূহে আমরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বয়কট করার ঘোষণা দিচ্ছি। ”
প্রহসনের এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা দাবি জানান শফিকুর।
হাই কোর্টের রায়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২১ জন নেতা এবার তাদের জোটসঙ্গী বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীও হয়েছেন কয়েকজন।
জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চার ব্যক্তির করা একটি আবেদন গত ২৪ ডিসেম্বর নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশন।
পরে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ২৭ ডিসেম্বর জামায়াত নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকে বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।
তবে আদালত নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত না করায় কিংবা জামায়াতের ২৫ প্রার্থীকে ভোটের অযোগ্য ঘোষণা না করায় তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো আইনি বাধা ছিল না।
জামায়াত নেতাদের ভোটে থাকায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে।