নির্বাচনে থাকছেন জামায়াতের প্রার্থীরা

নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকে বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2018, 07:31 AM
Updated : 27 Dec 2018, 10:46 AM

তবে আদালত নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত না করায় কিংবা জামায়াতের ২৫ প্রার্থীকে ভোটের অযোগ্য ঘোষণা না করায় তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো আইনি বাধা থাকছে না বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চার ব্যক্তির করা একটি আবেদন গত ২৪ ডিসেম্বর নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশন।

ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনকারীদের রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার রুল জারি করে।

বিএনপির মনোনয়নে ও স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হওয়া ওই ২৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে করা আবেদনটি নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিব, জামায়াতের ২৫ প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে ঢাকা-১৫ আসনের প্রার্থী জামায়াত নেতা শফিকুর রহমান ও কক্সাবাজার-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুর রহমান আযাদের পক্ষে শুনানি করেন রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন শিশির মনির।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ ইয়াসিন খান। আর রিটকারীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানিয়া আমীর।

আদেশের পর নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, “রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ২৫ জনকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল রিটে। আদালত সে নির্দেশনা দেয়নি। ফলে ২৫ প্রার্থীর নির্বাচন করতে বাধা নেই।”

তানিয়া আমীর বলেন, “ওরা (জামায়াতের দুই নেতার আইনজীবীরা) আজকে সেক্রেটারি জেনারেলসহ দুই নেতার পক্ষে ওকালতনামা দিয়ে আদালতে ছিল। তারা কিন্তু আদালতকে বলতে পারেন নাই যে ২৫ জন প্রার্থী জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেছেন। তারা বললেন অন্য একটি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এটাই হচ্ছে একটা প্রতারণা। অন্য প্রতীকে করলেও তারা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন।”

আদালতের আদেশে শতভাগ সন্তুষ্ট না হলেও রুল জারিতে খুশি বলে জানিয়েছেন এ আইনজীবী।