রোববার কমিশন সভার পর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, “রিটার্নিং অফিসাররা এসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিল। তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিলও করা হয়নি।
“সেক্ষেত্রে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাই তাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে আইনগত কোনো সুযোগ নেই বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।”
জামায়াতের এসব সদস্য ইসির কাছে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া আদালতের রায়ে যেসব আসনে বিএনপির প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, সেগুলোতে নির্বাচন স্থগিত বা বিকল্প প্রার্থী মনোনয়নের সুযোগ নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইতোমধ্যে অন্তত আটটি আসনে বিএনপির প্রার্থিতা নেই বলে দলটির প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছে। ওই সব আসনে বিকল্প প্রার্থী মনোনয়ন বা পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছিল তারা।
এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৩ আসনে পুনঃতফসিল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সেখানে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২ জানুয়ারি এবং ২৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে বলে ইসি সচিব জানিয়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে জামায়াতের ২৫ জন নেতার প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি আবেদন করেন চার ব্যক্তি।
পরে ওই আবেদনকারীরা এই দাবিতে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত তিন কার্য দিবসের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়।
এরমধ্যে শুক্রবার এইচটি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান।
যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, “তারা মনোনয়ন ফরমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। দলের জায়গায় তারা তো লিখেছে বিএনপি, কিন্তু তারাতো বিএনপির নয়-যেটা বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে। মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তাদের মনোনয়ন বাতিলযোগ্য। আমরা কমিশনকে জামায়াতের মনোনয়ন বাতিলের অনুরোধ করেছি।”
২৯৩ আসনের ব্যালট ছাপা শেষ
ইভিএমের ছয় আসন ছাড়া বাকি ২৯৩ আসনের ব্যালট পেপার ছাপানো শেষ হয়েছে বলে ইসি সচিব জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ইভিএমের ছয়টি আসন ও গাইবান্ধা-৩ আসন ছাড়া বাকি ২৯৩ আসনের ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। মুদ্রণ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগির রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে।”