বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চে বুধবার ওই আবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
পরে তিনি জানান, আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দিয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে ও স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হওয়া ২৫ জামায়াত নেতার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, দলটির সমাজ কল্যাণ সচিব মো. আলী হোসেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এর সভাপতি হুমায়ুন কবির ও সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মো. এমদাদুল হক ।
পরে হাই কোর্টের নির্দেশ এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনেও তারা আবেদন করেন। ওই আবেদনের নিষ্পত্তি করতে গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনকে তিন কার্যদিবস সময় দেয় হাই কোর্ট।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আবেদনে বলা হয়, হাই কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করলেও দলটির ২৫ জন প্রার্থী অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়ে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। নির্বাচন কমিশনও তাদের নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছে, যা আইনগতভাবে ‘বৈধ নয়’।
ওই ২৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয় সেই আবেদনে।
এরপর নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. সেলিম মিয়া ২৪ ডিসেম্বর একটি চিঠিতে আবেদনকারীদের জানান, ওই ২৫ জনের প্রার্থিতা বাতিলের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করে আবেদনটি নামঞ্জুর করেছে।
ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেই হাই কোর্টে ফের আবেদন করেছেন চারজন। ইসির ২৪ তারিখের চিঠি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে সেখানে।
রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ২৫ জনকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণারও আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর হাই কোর্টের শুনানিতে তানিয়া আমীর বলেছিলেন, যেহেতু জামায়াতের নিবন্ধন নেই সেহেতু ওই দলের কোনো নেতা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেন না।
“যেহেতু নিজস্ব প্রতীকে তারা ভোট করতে পারছেন না, সেহেতু অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এরপরও জামায়াত নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে ইসি হাই কোর্টের রায় ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের বিভিন্ন বিধির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।”