শেরপুর-১ (সদর) আসনে ধানের শীষ প্রার্থী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকার নির্বাচনী গণসংযোগের সময় তার গাড়ি ভাংচুর করেছে একদল যুবক।
Published : 24 Dec 2018, 09:56 PM
সোমবার বিকালে সদরের ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে এ ঘটনার পর বিক্ষোভ করাকালে বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে আটক করা বলে অভিযোগ প্রিয়াংকার।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিকাল ৪টার দিকে ঘুঘুরাকান্দি এলাকায় নিজের একটি পাজারো গাড়িতে তার মাসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ও দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে বের হন তিনি।
প্রিয়াংকা বলেন, পথে একদল যুবক গণসংযোগে বাধা দিয়ে গাড়ির বহরটি ফিরিয়ে দেয়। এ সময় তারা শান্তিপূর্ণভাবে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে আসার সময় পেছন থেকে লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ির পেছনের ও দুই পাশের কাচ ভেঙ্গে ফেলে এবং গাড়িতে বসা লোকজনের উপর হামলা করে।
এতে প্রার্থীর খালা ও ভাইসহ ১০ নেতাকর্মী জন আহত হন বলে তার অভিযোগ।
তিনি অভিযোগ করেন, পরে তিনি গাড়িটি নিয়ে শহরে ফিরে এসে বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের কার্যালয়ে দেখা করতে চাইলে প্রথমে তাকে সাক্ষাৎ দেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ অবস্থায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষের দরজার সামনে বসে কিছু সময় অবস্থান করেন প্রিয়াংকা। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে রিটানিং কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন।
এ সময় উত্তেজিত হয় প্রিয়াংকা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে হামলা ও গাড়ি ভাংচুরে ঘটনার বিবরণ দিয়ে এর বিচার ও তার নিরাপত্তার দাবি জানান। তিনি হামলার জন্য প্রতিপক্ষের সমর্থকদের দায়ী করেন।
রিটার্নং কর্মকর্তা বিএনপি প্রার্থীকে শান্ত হয়ে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং ঘটনার বিষয়ে নির্বাচনী তদন্ত সেলে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে, শেরপুর সদরের কুসুমহাটি এলাকায় শেরপুর-১ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিকের নির্বাচনী প্রচারের গাড়িতে হামলার অভিযোগ করেছেন তিনি।
সোমবার বিকালের এই হামলার জন্য তিনি প্রতিপক্ষের সমর্থকদের দায়ী করেন।
আতিক সাংবাদিকদের বলেন, হামলার সময় ওই গাড়িতে থাকা হুইপ আতিকের মেয়ে ও মেয়ের জামাইসহ অন্যরা ছিলেন। হামলায় তার ছোট মেয়ে অপি আহত হয়েছেন।