একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশের তা পর্যালোচনা করে মিথ্যা তথ্য পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
Published : 27 Nov 2018, 03:41 PM
তবে এই প্রক্রিয়া হলফনামা পাওয়ার পরই শুরু করা হবে জানালেও ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, “যারা নির্বাচনের নমিনেশন পেপার দাখিল করবেন, এই নমিনেশন পেপারের সাথে হলফনামা দিতে হয়। আমি যতটুকু জানি এসব ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়। তখন এটা পাবলিক ডকুমেন্ট।
“অসত্য তথ্য যদি কেউ দেয়, আপনি দেখতে পারবেন, আমিও দেখতে পাব। তখন আমরা সেটা নেব। এরপর এগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে মিলিয়ে দেখে যাচাই-বাছাই করব।”
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “যদি দেখা যায় অসত্য তথ্য, তাহলে আইন অনুযায়ী যাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তাদের কাছে পাঠিয়ে দিব৷ আর আমাদের যদি ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি সুযোগ থাকে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিব।”
হলফনামায় প্রার্থীদের ভুল তথ্য দেওয়া প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, “একটা ইচ্ছাকৃত ভুল, আরেকটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। অনিচ্ছাকৃত ভুল হলে সেটা তো মানতে হবে। অনিচ্ছাকৃত ভুল হলে কনসিডার করা হবে।”
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “মানুষ এখন দুর্নীতি বন্ধ চায়৷ দেশে দুর্নীতি আছে এটা সত্য। এখন যারা আমাদের জনপ্রতিনিধি হবেন, তারা সৎ নিষ্ঠাবান হবেন এটাই প্রত্যাশা মানুষের। এর প্রথম ধাপ হচ্ছে সকল প্রার্থী সৎভাবে নিষ্ঠার সাথে তাদের সম্পদের হিসাব নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী দাখিল করবেন।”