ফাঁসির আসামি জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানকে ছিনিয়ে নিতে প্রিজন ভ্যানে হামলার ঘটনায় টঙ্গী থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
Published : 07 Mar 2017, 11:31 AM
সোমবার রাতে এসআই অজয় কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে এ মামলা করেন বলে টঙ্গী থানার এসআই মো.সাইফুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আটক মোস্তফা কামালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩/৪ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীসহ ১৯ আসামিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলার হাজিরার জন্য কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সোমবার সকালে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।
হাজিরা শেষে প্রিজনভ্যানে করে তাদের আবার কাশিমপুর কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে প্রিজনভ্যান লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়া হয় বলে টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান।
তিনি বলেন, ওই সময় দুটি হাতবোমা রাস্তায় পড়ে বিস্ফোরিত হয়। তবে কেউ হতাহত হননি। ঘটনাস্থল থেকে হাতবোমা, সাউন্ড গ্রেনেড, চাপাতিসহ মাদ্রাসা ছাত্র মোস্তফা কামালকে আটক করা হয়।
ময়মনসিংহের তারাকান্দির পাগলী এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মোস্তফা নরসিংদীর শেখের চরের একটি মাদ্রাসার ছাত্র বলে ওসি জানান।
ওসি ফিরোজ বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামাল বলেছে, তাকে একজন ১০ হাজার টাকা দিয়েছে এই ঘটনা ঘটানোর জন্য। তবে তার নাম বলেনি।”
কামালের মানিব্যাগে একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “তারা মনে করছিল, হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই ভুয়া আইডি কার্ড ফেলে যাবে। আমরা ওই ভুয়া আইডি কার্ডের ব্যক্তির পেছনে ছুটব।”
আটক মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তিন বছর আগে গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ত্রিশালে জঙ্গিরা প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসান, সালাউদ্দিন সালেহীন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বোমারু মিজানকে ছিনিয়ে নিয়েছিল জঙ্গিরা।
মুফতি হান্নান সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা ও পুলিশসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এবং রমনা বটমূলে হামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত। আরও মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।