মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে নড়াইলের আদালতে।
Published : 29 Dec 2015, 02:00 PM
এর আগে একই অভিযোগে এ জেলায় খালেদার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছিল।
মঙ্গলবার নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত শেখ ওয়াজেদ আলীর ছেলে ও শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিক বিল্লাহ মামলা দুটি দায়ের করেন।
নড়াইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকারিয়া মামলা দুইটি আমলে নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদীর আইনজীবী আবদুস সালাম খান জানান, দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০১ ও ৫০২ ধারায় মামলা দুইটি দায়ের করা হয়েছে।
“আদালত দুটি মামলাই আমলে নিয়ে খালেদা জিয়ার মামলাটি সহকারী পুলিশ সুপারকে এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মামলাটি সদর থানার ওসিকে তদন্ত করে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশে দিয়েছে।”
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে খালেদা জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন।
মামলার বাদী সংবাদটি পড়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন।
বাদী শেখ আশিক বিল্লাহ বলেন, “আমি মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন ব্যক্তি। তাদের এ ধরনের বক্তব্যে মর্মাহত হয়ে আমি মামলা দুইটি দায়ের করেছি।”
এর আগে একই অভিযোগে গত ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে আরেকটি মামলা হয়েছে। জেলার কালিয়া উপজেলার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউসুফ আলী ফারুকীর ছেলে মো. রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় খালেদা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, “আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানারকম তথ্য আছে।”
এরপর ২৫ ডিসেম্বর খালেদার ওই বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা জরিপ করে দেখতে বলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ‘নির্বোধের মতো মরেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।