দল থেকে বহিষ্কৃত, মন্ত্রিত্ব হারানো আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।
Published : 03 Sep 2015, 07:19 PM
সাবেক এই মন্ত্রীর নির্বাচনী আসন টাঙ্গাইল-৪ এখন সংবিধান অনুযায়ী শূন্য বলে বৃহস্পতিবার সংসদে জানিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আসন শূন্য ঘোষণা সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের পর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হলে উপ-নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।
প্রায় এক বছর আগে নিউ ইয়র্কের এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে মন্তব্যের পর সমালোচনার মধ্যে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারিয়ে দেশে ফিরে গ্রেপ্তার হয়ে কয়েকমাস কারাবাসের পর জামিন নিয়ে বেরিয়ে গত মঙ্গলবার সংসদে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন লতিফ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার সংসদে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী সংসদকে লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ ও তার নির্বাচনী আসন শূন্য হওয়ার বিষয়টি জানান স্পিকার।
শিরীন শারমিন বলেন, “দশম জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী গত ১ সেপ্টেম্বর সংসদ কক্ষে উপস্থিত হয়ে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র আমার কাছে পাঠিয়েছেন। আমি সেটা গ্রহণ করেছি।
“সংবিধানের ৬৭ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার পদত্যাগপত্র আমার কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার আসন শূন্য হয়েছে।”
দল থেকে লতিফ সিদ্দিকী বহিষ্কৃত হওয়ার পর তার সংসদ সদস্যপদ থাকা নিয়ে জটিলতার নিষ্পত্তিতে শুনানি করছিল নির্বাচন কমিশন। তবে তিনি পদত্যাগ করায় বিষয়টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্পত্তি হয়ে গেল বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনাররা।
নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসনটি শূন্য ঘোষণার বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের গেজেট ইসি সচিবালয়ে আসবে। এরপর ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে আমরা সভায় বসব।”
আসন শূন্য ঘোষণা থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করতে হয়।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ওই জেলার প্রভাবশালী সিদ্দিকীদের বড় ভাই লতিফ।
ছাত্রলীগের মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া লতিফ সিদ্দিকী ১৯৬৪-৬৫ সালে করটিয়া সাদত কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ষাটের দশকে বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামের দিনগুলোতে একাধিকবার কারাগারে যেতে হয় তাকে।
গত মহাজোট সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর গত বছরের শুরুতে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।
সত্তরোর্ধ্ব লতিফ পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, এখন আর ভোট নিয়ে ভাবছেন না তিনি।