কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে আফগানিস্তানের কাবুলে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশও রয়েছে।
Published : 02 May 2015, 07:59 PM
শনিবার আদালতের ওই বিচার কাজ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
১৯ মার্চ ফারখুন্দা নামের ওই নারীকে পিটিয়ে এবং লাথি মেরে হত্যার পর তার মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়া হয়। কাবুলের মধ্যাঞ্চলে একটি মঠের কাছে এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু তারা উত্তেজিত জনতাকে থামাতে কোন ধরণের চেষ্টাই করেনি।
ওই ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করা হয় এবং অনলাইনে সেটা ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা বিভিন্ন মন্তব্যের সূত্র ধরে এ ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
শনিবার যাদের বিচার কাজ শুরু হয়েছে তাদের একজন শরিফুল্লাহ।
“অন্যরা দিয়াশেলাই বাক্স খুঁজছিল, তাই আমি তাদের আমার লাইটারটা দেই।”
অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, তারা ইসলামকে রক্ষা করার জন্য ওই নারীকে হত্যা করেছেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তাদের মতে এটা একদমই অনৈতিক কাজ ছিল।
পরে তদন্তে প্রমাণ হয়, ফারখুন্দার বিরুদ্ধে কোরআন পোড়ানোর মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছিল।