বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক বন্ধু

মশিউর রহমান মশু
Published : 25 Sept 2016, 03:42 PM
Updated : 25 Sept 2016, 03:42 PM

ভারত-মার্কিন যে চুক্তি হল, তার উপরে ভিত্তি করে সামনের দিকে দৃষ্টিপাত করে দেখতে পাচ্ছি। ভারত অজেয়। ভারত জয় করছে এশিয়ার অনেক অনেক অঞ্চল। যার মধ্যে পাকিস্তান- চীন-জাপানও চলে আসছে, তারপরে আরও..।

হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীকে বললাম, "ভারতের এমন দখলদারিত্বের নীতিতে আমরা বাঙালিরা কেন সামিল থাকবো না? দখলকৃত মুসলিম দেশগুলি বাংলাদেশের, ঢাকার অধীনে থাকবে। অন্যান্য আর সকল থাকবে ভারতের, দিল্লীর দখলে। বাংলাদেশকে সাথে না রাখলে, মুসলিম দেশগুলি ভারত নিজেদের অধীনে রাখতে পারবে না। এই কারণে ভারত বাংলাদেশকে এই দখলদারিত্বের নীতিতে সামিল করবে। বাংলাদেশের উচিৎ ভারতকে মনেপ্রাণে সাহায্য করা। আমেরিকা, সে তো শুধু আধিপত্য চায়।"

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, "ইতিহাস বলে সয়ম্বর সভা হতে, অর্জুন ধনুক-বাজিতে দ্রোপদীকে জয় করেন, সেই সভাতে বাঙাল-রাজ (বঙ্গ রাজ) ছিলেন। আবার পাশা খেলা, দ্রোপদীর বস্ত্র হরণের সভা তাতেও বাঙাল-রাজ (বঙ্গরাজ) ছিলেন। কুরুক্ষেত্রের যে যুদ্ধ তাতে ভীমপুত্র ঘটোৎকচকে বধ করার জন্য কুরু বীরেরা কর্ণের কাছে গেলেন। দেবরাজ ইন্দ্র একটি মরানাস্ত্র কর্ণকে দিয়েছিল যার নাম, একাঘ্নী। এটা এমন ভয়ঙ্কর অস্ত্র যার উপর প্রয়োগ করবে সেই শুধু মারা পরবে, এমন কি এতে স্বয়ং দেব রাজ ইন্দ্র-ও মারা পরবেন যদি তার উপরে প্রয়োগ করা হয়। এমন অস্ত্র যেটা শুধু একজন কেই মারা যাবে। সেই অস্ত্র দিয়ে ঘটোৎকচকের মৃত্যু ঘটান কুরু-বীরেরা। ঘটোৎকচকের কত বড় বীর! ঘটোৎকচ ছিলেন বাঙাল-বীর। তিনি তার মা হিড়িম্বাকে নিয়ে এই বাঙালাদেশেই থাকতেন।"

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বললেন, "বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক বন্ধু।"

হঠাৎ মায়ের কথায় সবিয়ৎ ফিরে পেল, – 'উচ্চ'।
'মা' -"কিরে, এই ভর বেলা ঘুমচ্ছিস?"
'উচ্চ' – উত্তর দিল, "না মা, দিবা স্বপ্ন দেখছিলাম। আমরা জয় করছি।"

মাঝে মাঝেই 'উচ্চ' এই রকম কিছু কিছু কথা বলে, যার কোন শরীর-হাত-পা কিছুই নাই! 'মা' এটা ভালো করেই জানেন।