‘নাশকতার’ ইঙ্গিত, উড়িষ্যার ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে সিবিআই

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো ‘নাশকতা’ হয়েছে কিনা তা সিবিআইয়ের মতো শীর্ষ একটি সংস্থার তদন্তের মাধ্যমেই বের হতে পারে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2023, 09:30 AM
Updated : 6 June 2023, 09:30 AM

উড়িষ্যার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ‘নাশকতার’ কারণেও ঘটে থাকতে পারে, ভারতীয় রেলওয়ের এমন ইঙ্গিতের পর ঘটনার কারণ বের করতে তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যটির বালেশ্বর জেলার বহানগা বাজারের কাছে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে, দুটি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হিসাব ভারতীয় রেলের; তবে উড়িষ্যা সরকারের হিসাব অনুযায়ী এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭৫।

ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, এ দুর্ঘটনার বিষয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেল বোর্ড।

এ ঘটনায় উড়িষ্যার পুলিশ ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু ও মানুষের জীবন বিপন্ন করার’ অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।

মঙ্গলবার সিবিআইয়ের টিম বালেশ্বরের ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি খতিয়ে দেখেছে। এদিন তারা উড়িষ্যা পুলিশের কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

সিবিআই দুর্ঘটনার সময়কালীন রেলওয়ের বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করার পাশাপাশি ওই সময়ে কর্তব্যরত রেলকর্মীদের বয়ন রেকর্ড করবে।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো ‘নাশকতা’ হয়েছে কিনা তা সিবিআইয়ের মতো শীর্ষ একটি সংস্থার বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমেই বের হতে পারে। সিবিআইয়ের তদন্তের ভার নেওয়াকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন তারা।

এর আগে দেশটির রেলওয়ের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রেলের ইন্টারলকিং পদ্ধতিতে অবৈধ হস্তক্ষেপ ও ‘নাশকতার’ মতো কিছু হয়ে থাকতে পারে। এই পদ্ধতি ট্রেনের উপস্থিতি শনাক্ত করে।

সিগন্যাল ব্যবস্থার ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে, এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ‘নাশকতা’ হয়েছে বলে এরমধ্যেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রেলওয়ের এক ডিভিশনাল কর্মকর্তা। এই কর্মকতার ধারণা, বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ না করলে রেলের সিগন্যাল ব্যবস্থায় ত্রুটি হতেই পারে না।

আর সে কারণেই শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী গাড়ি দুর্ঘটনায় জড়ায়। এই ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি প্রায় ৯০০ জন আহত হন। এটি গত দুই দশকের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা।