হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সাধারণত একটি ওয়ারহেড উৎক্ষেপণ করে যেটি ঘণ্টায় প্রায় ৬২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
Published : 15 Jan 2024, 01:46 PM
উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারা কঠিন জ্বালানি চালিত মাঝারি পাল্লার নতুন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।
রোববার পিয়ংইয়ং এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়, সোমবার জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এই পরীক্ষা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি পিয়ংইয়ং এলাকা থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে উৎক্ষেপণ করা হয়, এটি উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে উড়ে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির সর্বোচ্চ উচ্চতা অন্তত ৫০ কিলোমিটার ছিল।
রয়টার্স জানিয়েছে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সাধারণত একটি ওয়ারহেড উৎক্ষেপণ করে যেটি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ গতিতে চলে বা ঘণ্টায় প্রায় ৬২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে; এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রায়ই কম উচ্চতা দিয়ে চলাচল করে।
কেসিএনএ জানিয়েছে, নতুন বহু পর্যায়ের, হাই-থ্রাস্ট কঠিন জ্বালানির ইঞ্জিন ও মাঝারি পাল্লার সুপারসনিক ওয়ারহেডের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা করে দেখার জন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই পরীক্ষা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করেনি।
নাম হাইপারসনিক হলেও বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এ ধরনের অস্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য গতি না বরং এদের গতিপথ, যা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়াতে সহায়তা করতে পারে।
উত্তর কোরিয়া এর আগে জানিয়েছিল, তারা ১১ ও ১৪ নভেম্বর মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য নুতন সলিড-ফুয়েল (কঠিন জ্বালানির) ইঞ্জিন পরীক্ষা করেছিল।