রাশিয়া ইউক্রেইনে সামরিক অভিযান শুরুর পর যে অল্প কয়েকটি দেশ মস্কো ও কিইভ উভয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছে, তুরস্ক তার একটি।
Published : 25 Jun 2023, 03:12 PM
ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ঘোষণা করে মস্কোর দিকে অগ্রযাত্রা শুরুর পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান তার রুশ কাউন্টার পার্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বলে জানিয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
শনিবার ফোনালাপে এরদোয়ান পুতিনকে বিদ্রোহ মোকাবেলায় কাণ্ডজ্ঞান খাটিয়ে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেন, বলেছে তারা।
শুক্রবার রাতে রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রথমে রোস্তভ-অন-দনে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক জেলার সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ওয়াগনার, পরে তাদের একটি বহর মস্কোর দিকে অগ্রসর হয়।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওয়াগনারকে অস্ত্র নামিয়ে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানোর পরও কোনো কাজ না হলে টেলিভিশনে জরুরিভিত্তিতে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ভাড়াটে বাহিনীটির কর্মকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ অ্যাখ্যা দেন এবং বলেন রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যারাই অস্ত্র ধরবে তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
ভাষণের পর পুতিন প্রথমেই যে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, এরদোয়ান তাদের ছিলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, দুই নেতা রাশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। এ সময় এরদোয়ান পুতিনকে জানান, সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহযোগিতা করতে আঙ্কারা প্রস্তুত।
আলাদা বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানায়, পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় এরদোয়ান রাশিয়ার সরকার বিদ্রোহ দমনে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে সমর্থন দিয়েছেন।
রাশিয়া গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে তাদের বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর যে অল্প কয়েকটি দেশ মস্কো ও কিইভ উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলেছে, তুরস্ক তার একটি।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্য হলেও তুরস্ক তার পশ্চিমা মিত্রদের মতো ইউক্রেইনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তবে তারা ইউক্রেইনকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে এবং দেশটির সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে মস্কোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে।