হামাসের হামলায় ৬ শতাধিক ইসরায়েলি নিহত, জিম্মি ১শ’: ইসরায়েল

কয়েক দশকের মধ্যে গত শনিবার হামাস আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালায়।

হামাসের বন্দুকধারীদের কাছ থেকে আবাসিক এলাকাগুলোর সুরক্ষায় ইসরায়েলি সেনারা। ছবি: রয়টার্স।

গাজার মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ইসারেয়েলে প্রাণহানি এবং হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের সংখ্যা জানিয়েছে দেশটির সরকার।

ইসরায়েল সরকারের প্রেস অফিস থেকে ফেইসবুকে এক পোস্টে বলা হয়েছে, শনিবার থেকে হামলায় এ পর্যন্ত ৬০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। তাছাড়া, ইসরায়েলে ঢুকে পড়া হামাস যোদ্ধাদের হাতে ১০০ ইসরায়েলি সেনা ও বেসামরিক নাগরিক অপহৃত বা জিম্মি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওদিকে, হামাসের ওই হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় শনিবার সকাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন সেখানকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

কয়েক দশকের মধ্যে শনিবার হামাস আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালায়। দিনটি ছিল ইহুদিদের ছুটির দিন। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রকেট হামলা চালানোর পাশাপাশি সুপরিকল্পিতভাবে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথ ব্যবহার করে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে পড়ে।

তারা কয়েক ঘণ্টা ইসরায়েলি শহর ও সেনাচৌকি অবরুদ্ধ করে রাখে। অভিযানে বেশ কিছু ইসরায়েলি নিহত হয়। কিছু ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায়ও নিয়ে যায় ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীরা।

বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কয়েকজন আমেরিকান নিহত হয়েছে বলে সিএনএন-কে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার খবর পেয়েছে যে, ইসরায়েলে কয়েকজন আমেরিকান নাগরিক নিহত হয়েছে। কর্মকর্তারা এ খবরের সত্যাসত্য যাচাই করে দেখছেন।

ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র নতুন সামরিক সহায়তা দেবে এবং এ ব্যাপারে বিস্তারিত রোববারেই জানানো হবে বলে জানান ব্লিনকেন। তিনি বলেন, “ইসরায়েলের যা দরকার সেটি তাদের পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার দিকেই আমরা সর্বপ্রথমে নজরে রাখছি।”

৫০ বছর আগে ইসরায়েলে মিসর ও সিরিয়ার আকস্মিক হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। শনিবার ইসরায়েলে হামাসের সবচেয়ে বড় এবং প্রাণঘাতী হামলার মধ্য দিয়ে সেই পরিস্থিতিরই পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন দিলেও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে হামাসের সমর্থনে বিক্ষোভ হচ্ছে। লেবাননের রাজধানীতে গাজাপন্থি বিক্ষোভ হচ্ছে। উড়ছে ফিলিস্তিন এবং হেজবুল্লাহর পতাকা। ইরান এবং হেজবুল্লাহ হামাসের ইসরায়েলে হামলা প্রশংসা করেছে।