শস্য চুক্তি আর নাও থাকতে পারে: রাশিয়া

পাঁচটি সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি না হলে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ ১৮ মে’র পর আরও বাড়ানো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই, বলেছে রাশিয়া।

রয়টার্স
Published : 13 April 2023, 03:40 PM
Updated : 13 April 2023, 03:40 PM

কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো দিয়ে রাশিয়ার কৃষি পণ্য ও সার রপ্তানিতে বাধা পশ্চিমা দেশগুলো দূর না করা পর্যন্ত ১৮ মে’র পর জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেইনের সঙ্গে হওয়া শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে মস্কো।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বিধিগত পাঁচটি সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি না হলে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ ১৮ মে’র পর আরও বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই।

তাছাড়া, চুক্তির আওতায় কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি করা জাহাজগুলোতে ইউক্রেইন এবং জাতিসংঘের পরিদর্শন কাজ জমে থাকা নিয়েও রাশিয়া দোষারোপ করেছে।

রাশিয়া বরাবরই বলে এসেছে, তাদের শস্য রপ্তানির পথে প্রধান বাধাগুলো দূর হওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে আছে সুইফট পেমেন্ট ব্যবস্থায় রাশিয়ান এগ্রিকালচারাল ব্যাংককে আবার সম্পৃক্ত করার বিষয়টিও।

এছাড়া, রাশিয়ার অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে- কৃষি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ শুরু হওয়া, বীমা ও পুনর্বীমার ওপর থেকে কড়াকড়ি তুলে নেওয়া, বিভিন্ন বন্দরে প্রবেশের পথ সুগম করা, খাবার ও সার রপ্তানিতে নিয়োজিত রুশ কোম্পানিগুলোর জব্দ সম্পদ এবং একাউন্ট খুলে দেওয়া এবং টোলিয়াট্টি-ওদেসা অ্যামোনিয়া পাইপলাইন পুনরায় চালু করা।

তুরস্কে গত বছরের ২২ জুলাই জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্য কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় ইউক্রেইনের বন্দরগুলো থেকে লাখ লাখ টন শস্য ও খাদ্যপণ্য বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যেতে পারছে।

গত ১৪ মার্চে চুক্তিটির মেয়াদ ৬০ দিন বাড়ানো হয় বলে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্দার গ্রুশকোর বরাত দিয়ে জানিয়েছিল রুশ বার্তা সংস্থা তাস।

ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিভিন্ন খাতে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নির্দিষ্ট করে কৃষিপণ্য রপ্তানিকে লক্ষ্য করে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।

কিন্তু আর্থিক লেনদেন, সরঞ্জাম ও বীমা খাতে থাকা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে; কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় রাশিয়া প্রায়ই এ যুক্তি হাজির করে তাদের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা শিথিলে চাপ দিচ্ছে।