উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলোকে ধাওয়া করতে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।
Published : 26 Dec 2022, 06:51 PM
আকাশসীমা লঙ্ঘন করে উত্তর কোরিয়ার পাঁচটি ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ায় ঢুকে পড়েছিল। যেটিকে স্পষ্ট উসকানি বলে বিবেচনা করছে দেশটির সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ড্রোনগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার জিয়ংগি প্রদেশের সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। তারমধ্যে একটি ড্রোন রাজধানী সিউলের উত্তর প্রান্তের দিকে উড়ে যায় এবং সেখান থেকে আবার ফিরে এসে সীমান্ত অতিক্রম করে যায়।
ড্রোনগুলো প্রবেশ করার পর দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমান এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার সেগুলোকে ধাওয়া করে। কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলি করা হলেও ড্রোনগুলিকে ভূপাতিত করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান দেশটির জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ।
পুরো বছর জুড়ে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে কোরিয়া উপদ্বীপে আগে থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বছর উত্তর কোরিয়া রেকর্ড ৬০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাকর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের পিছু নিতে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলোর একটি (কেএ-ওয়ান) বিমানঘাঁটি থেকে উড়াল দেওয়ার পরপরই বিধ্বস্ত হয়। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিমানের দুই পাইলট অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন।
বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটির ধ্বংসাবশেষ সিউলের পূর্বের হোয়েংসেং কাউন্টিতে পড়ে।
বাকি বিমান ও হেলিকপ্টার ঘণ্টাখানেক পর বিমানবন্দরে ফিরে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক সেনাকর্মকর্তা এ ঘটনাকে পিয়ংইয়ংয়ের ‘স্পষ্টত উসকানিমূলক আচরণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
বলেছেন, ‘‘আমাদের সেনাবাহিনী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার এ উসকানির জবাব দিতে থাকবে।”
সর্বশেষ পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছিল।