তুরস্কের মালাতিয়া শহর থেকে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খবর জানাচ্ছিন রিপোর্টার ইউকসেল আকালান। যেটি তার টেলিভিশন চ্যানেল ‘এ হাবার’ এ সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল।
হঠাৎ করেই তার পায়ের নিচের জমি কেঁপে উঠে এবং আতঙ্কিত লোকজন ছুটতে শুরু করেন। সাইরেন বাজতে থাকে।
আকালান এবং তার ক্যামেরাম্যানও যে ছুটতে শুরু করেন তা ভিডিও দেখেই বোঝা যায়। আতঙ্কিত লোকজনের চিৎকার শোন যাচ্ছিল। কয়েক সেকেন্ড পরই একটি বহুতল ভবন হুড়মুড় করে ধসে পড়ার শব্দ শোনা যায়। ক্যামেরা যখন সেদিকে ঘোরে তখন বিশাল আকারের ধূলার কুণ্ডলীতে ঢেকে গেছে চারপাশ।
পুরো ঘটনাটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হয়ে যায়। যে ভিডিওটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে।
পরে নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান আকালান। তিনি বলেন, ‘‘যখন আমরা দর্শকদের ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ দেখাতে সেদিকে যাচ্ছিলাম, প্রচণ্ড জোরে একটি শব্দের সঙ্গে পরপর দুইবার পরাঘাত অনুভূত হয় এবং আমার বা দিকে যে ভবনটি দেখা গিয়েছিল সেটি মাটিতে ভেঙে পড়তে শুরু করে।”
সোমবার স্থানীয় সময় ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কয়েক হাজার ভবন ধসে পড়েছে। দুই দেশ মিলিয়ে এরইমধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
উদ্ধার অভিযোন চলছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান।
জরুরি অবস্থা জারির ফলে প্রেসিডেন্ট এবং তার মন্ত্রিসভা এখন পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে নতুন আইন পাস করতে পারবে। জরুরি সব কাজ যেন দ্রুততার সঙ্গে হয় তা নিশ্চিত করতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।