বাড়তে থাকা সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে শীর্ষ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মধ্যে রোববার বৈঠক শুরু হয়েছে জর্ডানের মধ্যস্থতায়। এক কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।
কয়েকবছরের মধ্যে সম্প্রতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতা বেড়ে গেছে। আসছে রমজান মাসে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়ার শঙ্কা আছে। তাই সহিংসতা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার আওতায় জর্ডান আলোচনা অনুষ্ঠানের এই উদ্যোগ নিয়েছে।
ইসরায়েলসহ অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজায় শান্তি ফেরাতে বহুবছর পর এই প্রথম শীর্ষ ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা প্রধানদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, লোহিত সাগর তীরবর্তী আকাবা বন্দর এলাকায়।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা ছাড়াও জর্ডান, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
জর্ডানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বৈঠকের লক্ষ্য শান্তি ফেরানোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে পূর্ব জেরুজালেমসহ স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি রাজনৈতিক ভবিষ্যতের আশা জাগানো।
বৈঠকে একতরফা কোনও পদক্ষেপ নেওয়া বন্ধে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চলবে। এই সমঝোতার মধ্য দিয়ে আস্থা গড়ার পট প্রস্তুত হবে এবং আরও রাজনৈতিক আলোচনার পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, দুই পক্ষ সমঝোতায় ব্যর্থ হলে মাঠ পর্যায়ের অস্থিরতা আরও ছড়িয়ে পড়ে পরিস্থিতিকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যাবে, যাতে প্রত্যেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাবমতে, এবছর সহিংসতায় অন্তত ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।