ইউক্রেইনের জন্য বাড়তি ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়া হবে।
Published : 06 Oct 2023, 12:05 AM
ইউক্রেইনকে অস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই বড় রাজনৈতিক দলে সমর্থন কমে আসছে। রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই কিইভের জন্য তা সতর্কবার্তা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেইনের বৃহৎ অস্ত্র সরবরাহকারীদের অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার ও বুধবার এই জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪১ শতাংশ মনে করেন ওয়াশিংটনের ‘ইউক্রেইনকে অস্ত্র সরবরাহ করা উচিত’। ৩৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দ্বিমত পোষণ করেছেন এবং বাকিরা উত্তর দেননি। গত মে মাসে পরিচালিত এক জরিপে যা ছিল যথাক্রমে ৪৬ শতাংশ এবং ২৯ শতাংশ।
ইউক্রেইনের জন্য বাড়তি ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিলের যে অনুরোধ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করেছেন, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বিতর্কের মধ্যে দেশজুড়ে অনলাইনে এ জরিপ পরিচালিত হয়। ২৪ বিলিয়ন ডলার তহবিলের মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন বাইডেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য ওয়াশিংটন ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের ডজন ডজন ট্যাঙ্ক, হাজার হাজার রকেট এবং লাখ লাখ গুলি দিয়ে কিইভকে সহায়তা করছে।
রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইউক্রেইনকে অস্ত্র সরবরাহের পক্ষে জনসমর্থন ক্রমান্বয়ে বাড়লেও সম্প্রতি সামগ্রিক সমর্থন কমে এসেছে। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, সম্প্রতি ৫২ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ইউক্রেইনকে অস্ত্র সরবরাহ করাকে সমর্থন করছে। গত মে মাসে যা ছিল ৬১ শতাংশ। আর রিপাবলিকানদের মধ্যে ইউক্রেইনকে অস্ত্র সরবরাহ করায় সমর্থন দিয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। গত মে মাসে যা ছিল ৩৯ শতাংশ।
জরিপে আরও দেখা গেছে, ৩৪ শতাংশ ডেমোক্র্যাটই এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত যে, ইউক্রেইনের সমস্যা যুক্তরাষ্ট্রের দখার বিষয় নয়, তাই মার্কিনিদের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপও করা উচিত নয়। আর রিপাবলিকানদের ৫৬ শতাংশ এই বক্তব্যর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী গত জুন থেকে রুশ বাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। এরই মধ্যে তারা বেশ কয়েকটি গ্রাম এবং এলাকা রাশিয়ার দখলমুক্ত করেছে। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।