তবে আমদানি-রপ্তানির এই পতন যতটা খারাপ হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, ততটা হয়নি।
Published : 10 Feb 2024, 05:44 PM
চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ঘরে-বাইরে চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি বাণিজ্যে টানা চতুর্থ মাসেও পতন দেখল চীন।
সরকারি হিসেবে, এক বছর আগের তুলনায় গত অগাস্টে রপ্তানি পড়ে গেছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। একই সময়ে আমদানি কমেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
তবে আমদানি-রপ্তানির এই পতন যতটা খারাপ হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, ততটা হয়নি। বরং গত মাসে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি দেখেছে চীন।
মহামারীর ধকলের পর আবাসন খাতের সংকট এবং ভোক্তা ব্যয় কমে যাওয়ার মত বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে চীন সরকার। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপোড়েনে পর থেকে চীনের তৈরি পণ্যের চাহিদা কমেছে বিশ্ববাজারে। দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এর প্রভাব হচ্ছে গুরুতর।
বুধবার মার্কিন পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের পণ্য আমদানি ২০০৬ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। দুই দেশের বাণিজ্যের মধ্যে চীনের রপ্তানির পরিমাণ এখন ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১৮ সালের মার্চে রেকর্ড ২১ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল।
চীনের আবাসন খাত গভীর মন্দার কবলে পড়েছে। ঋণভারে জর্জরিত এই খাতের শীর্ষ কোম্পানিগুলো ব্যাপক অর্থ সংকটে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি মেরামতে বড় কোনো পদক্ষেপও নেয়নি বেইজিং। তার বদলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য দিতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়েছে। আবাসন খাতের বিদ্যমান ঋণের ওপর সুদ হার কমানোরও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে ঋণদাতাদের।
সংবাদসূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)