ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়ে বলেছেন, কয়েকদিন ধরে গাজায় ইসরায়েলের ভারি বোমাবর্ষণ ছিল ‘কেবল শুরু’।
Published : 14 Oct 2023, 03:22 PM
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দা ইসরায়েলের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে চলে যাওয়ার হুমকির মুখে রয়েছেন, আতঙ্কে অনেক সে পথ ধরলেও অন্যরা ইসরায়েলের আদেশ অমান্য করবেন বলে জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের হিসাবে ইতোমধ্যে লাখো গাজাবাসী উত্তরাঞ্চলে ছেড়ে দক্ষিণে চলে গেছেন বা পথে রয়েছেন।
এর মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়ে বলেছেন, কয়েকদিন ধরে গাজায় ইসরায়েলের ভারি বোমাবর্ষণ ছিল ‘কেবল শুরু’।
গত শনিবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস সবাইকে চমকে দেওয়া এক আকস্মিক আক্রমণে ১৩০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করে। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ব্যাপক বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এ পর্যন্ত অন্তত ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ওই হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী এক সপ্তাহ যাবৎ কেবল আকাশপথেই গাজায় আক্রমণ চালিয়ে এসেছে। শনিবার থেকে তারা ভূখণ্ডটিতে সীমিত স্থল অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিমান থেকে প্রচারপত্র ছেড়ে গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েল, এতে টানা বোমাবর্ষণের মধ্যে থাকা ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, দ্রুতই দক্ষিণমুখি পথে মানুষ ও যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়ে যায়। তারপরও গাজা শহরের অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন তারা কোথাও যাবেন না এবং ইসরায়েলের আদেশ অমান্য করবেন।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলেছে, একসঙ্গে এতো মানুষকে এলাকা ছাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হলে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তারা ইসরায়েলকে গাজা থেকে অবরোধ উঠিয়ে নিয়ে ভূখণ্ডটিতে মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
হামাসের একদিনের কয়েক ঘণ্টার হামলায় নজিরবিহীন প্রাণাহানি হওয়ার পর গাজার শাসকদল হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। এ লক্ষ্যে গাজায় টানা এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করার পর স্থল অভিযানে নেমেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। হামাস শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করার প্রত্যয় জানিয়েছে।
গাজার সীমান্তজুড়ে ট্যাংক ও প্রায় তিন লাখ সেনা মোতায়েন করে বড় ধরনের স্থল হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই তারা গাজায় ফিলিস্তিনি রকেট ছোড়ার স্থানগুলোতে সীমিত অভিযান চালিয়েছে এবং হামাসের হাতে বন্দি শতাধিক ইসরায়েলির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান শুরু
ইসরায়েল থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে লেবাননে রয়টার্সের সাংবাদিক নিহত