ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধকবলিত এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত এক ফরাসি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বাখমুতের ঠিক পশ্চিমে চসিভ ইয়ার এলাকায় নিক্ষিপ্ত রকেট বিস্ফোরণে আরমান সোলদিন (৩২) মারা যান। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন।
বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইউক্রেইনীয় সেনাদের একটি দলের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের একটি টিম হামলার মুখে পড়ে।
সোলদিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুদ্ধক্ষেত্রের সামনের সারিতে থেকে করা তার কাজের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়েছেন।
এক টুইটে তিনি বলেছেন, “আমরা তার প্রিয়জনদের ও সহকর্মীদের বেদনা শেয়ার করছি।”
এএফপির চেয়ারম্যান ফাব্রিস ফ্রাইস জানিয়েছেন, সোলদিনের মৃত্যুতে বার্তা সংস্থাটি শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেছেন, “এই মৃত্যু ইউক্রেইনের যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিদিন যে বিপদ ও ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছেন তা ভীষণভাবে মনে করিয়ে দিচ্ছে।”
বার্তা সংস্থাটির ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক ক্রিস্টিন বুহাগিয়ার সোলদিনকে স্মরণ করে তিনি ‘উদ্যমী, তেজোময় ও সাহসী’ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন।
ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের সর্বদলীয় সদস্যরা একযোগে দাঁড়িয়ে সোলদিনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেইনের আক্রমণ শুরু করার পর সেখানে যাওয়া এএফপির প্রথম দলের অংশ ছিলেন সোলদিন এবং সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সেখানেই বসবাস করছিলেন।
তার মৃত্যুতে ইউক্রেইনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও শোক প্রকাশ করে তার পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে হোয়াইট হাউজও শোক প্রকাশ করেছে।
বসনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী সোলদিন ইউক্রেইনের যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হওয়া ১৫তম সাংবাদিক বলে জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট। সোলদিনের পাশাপাশি এদের মধ্যে আরও দুই ফরাসি সাংবাদিক আছেন।
বাখমুত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেইন যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল হয়ে আছে।