রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইনে নাশকতা হয়েছে: সুইডেন

রাশিয়ার প্রধান নর্ডস্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে ছিদ্র শনাক্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে বিস্ফোরকের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

রয়টার্স
Published : 18 Nov 2022, 03:39 PM
Updated : 18 Nov 2022, 03:39 PM

বাল্টিক সাগরের তল দিয়ে চলে যাওয়া রাশিয়ার প্রধান নর্ডস্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাতে ছিদ্র শনাক্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে বিস্ফোরকের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এতে পাইপলাইনটিতে যে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে সেটি নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন এক সুইডিশ কৌসুলি।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইউরোপে জ্বালানি সংকটের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে নর্ড স্ট্রিম-১ এবং নর্ড স্ট্রিম-২ নামের দুটি রুশ গ্যাস পাইপলাইন। সেপ্টেম্বরে এই পাইপলাইন দুটিতে চারটি ছিদ্র শনাক্ত হওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলো ঘটনাটি নাশকতা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছিল।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইপলাইনে ফুটোর জন্য নাশকতাকেই দায়ী করেন। যদিও এর সপক্ষে তখন কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি তিনি। ওদিকে, ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রীও নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

সুইডেন এবং ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ নর্ড স্ট্রিম-১ এবং নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপলাইনের চারটি ছিদ্র নিয়ে তদন্ত চালিয়ে আসছে। গত মাসে ডেনমার্ক জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ছিদ্র হয়েছে শক্তিশালী বিস্ফোরণ থেকে।

এবার সুইডিস বিচারিক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমানে চালানো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি বস্তুর ওপর বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এতেই স্পষ্ট যে, ঘটনাটি আদতে নাশকতা।

ঘটনার আরও তদন্ত থেকে এই নাশকতার জন্য কারা দায়ী তা বেরিয়ে আসবে বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। তদন্তের নেতৃত্বে থাকা কৌসুলি বলেছেন, সুইডেন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষের সমন্বয় খুবই ভাল চলছে।

কৌঁসুলির কার্যালয় থেকে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। পাইপলাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করতে কোনধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তাও জানানো হয়নি।

ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালানোর জেরে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ার পর মস্কো এই গ্যাস পাইপলাইন দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কয়েক দফায় কমিয়েছিল। এতে ইউরোপে জ্বালানির দাম বেড়ে যায় এবং দেশগুলো বিকল্প জ্বালানির সন্ধান শুরু করে।

পাইপলাইনে ছিদ্রের জন্য রাশিয়াও নাশকতাকে সম্ভাব্য কারণ হিসাবে উল্লেখ করে বলেছিল, এতে করে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তা ক্ষুন্ন হয়েছে।

তবে ইউক্রেইনের অভিযোগ ছিল, রাশিয়ার ‘সন্ত্রাসী হামলা’র কারণে গ্যাস পাইপলাইন ছিদ্রের ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপকে অস্থিতিশীল করতেই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এ দাবির পক্ষে তারা কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।