বিষয়টি বিরক্তিকর বলে মনে হলেও যতটা সম্ভব গোসল না করেই থাকেন তিনি।
Published : 05 Mar 2024, 01:02 PM
নিয়মিত গোসল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার স্বাভাবিক উপায় হলেও যতটুকু সম্ভব সেটি এড়িয়ে চলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণী।
শুধু গোসলই নয়, প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্মে পানির ব্যবহার থেকেও তিনি দূরে থাকেন। ইচ্ছা করে তিনি গোসল করেন না, বিষয়টি আবার তেমনও নয়।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার ২২ বছর বয়সী লরেন মন্টেফুসকো গোসল করলেই তার শরীরে মারাত্মক চুলকানি শুরু হয়। ছোটবেলা থেকেই এ সমস্যা হলেও এখন তা আরো বেড়েছে।
কিন্তু প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্মে পানির ব্যবহার এড়িয়ে চলা বা গোসল না করে থাকাটা তার জন্য বেশ কঠিন বলে জানান মন্টেফুসকো।
তার এই সমস্যাকে বলা হয় ‘অ্যাকোয়াজেনিক আরটাকেরিয়া’; এটি এক ধরনের চর্মরোগ, যাতে শরীরে পানি লাগলেই র্যাশ বা ফুসকুড়ি ওঠে এবং চুলকায়। চিকিৎসা শাস্ত্রে ‘অ্যাকোয়াজেনিক আরটাকেরিয়া’র ৩৭টি ধরণ দেখা গেলেও মন্টেফুসকোর সমস্যাটি বিরল।
এই তরুণী বলেন, গোসল কিংবা অন্য কোনোভাবে পানির সংস্পর্শে এলেই তার চুলকানি শুরু হয় এবং এক ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে থাকে। মনে হয় যেন শরীরের চামড়ার গভীরে চুলকাচ্ছে। আর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও না চুলকে থাকতে পারেন না।
তিনি জানান, ১২ বছর বয়সে এই সমস্যা শুরু হয়। বছর তিনেক পর চিকিৎসকের কাছে গেলে তার রোগটি ধরা পড়ে। এরপর যত সময় গড়িয়েছে, সমস্যা আরো বেড়েছে।
অ্যালার্জির এই সমস্যার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকায় মন্টেফুসকো যতটা সম্ভব গোসল এড়িয়ে কিংবা খুব তড়িঘরি গোসল করে সমস্যা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। গোসল করলেও দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করে নেন। কারণ শরীরে ঠান্ডা বাতাস, ঘসামাজা কিংবা শেইভ করলেও তার সমস্যা বেড়ে যায়। এমনকি শরীর ঘামলে, সাগরে বা গরম জলের বাথটাবে কিংবা সুইমিং পুলে নামলেও ওই সমস্যা তৈরি হয়।
কাপড় ভিজিয়ে শরীর মোছার চেষ্টা করলেও অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হয় বলে জানান মন্টেফুসকো। চুলকানির এই সমস্যা শরীরের সঙ্গে তার মানসিক যন্ত্রণাও বাড়িয়েছে। গোসল না করে থাকাটাকে বিরক্তিকর বলেই মনে হয় তার কাছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই সমস্যায় ভোগা আরো কয়েকজনকে খুঁজে পেয়েছেন মন্টেফুসকো। ফলে তাদের দেখাদেখি গোসল এড়িয়ে চলার সমস্যা নিয়ে এখন কমই বিরক্ত বোধ করেন।