পরিবেশবিদদের ধারণা, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং এল-নিনোর প্রভাবেই এমনটা হচ্ছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় ফসলহানির শঙ্কায় পড়েছেন সেখানকার কৃষকরা।
Published : 18 Jan 2024, 09:04 PM
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পাহাড়ি জেলা নিলগিরিসে তাপমাত্র শূন্যের কাছাকাছি নেমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবেশবিদরা।
পরিবেশবিদদের ধারণা, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং এল-নিনোর প্রভাবেই এমনটা হচ্ছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় ফসলহানির শঙ্কায় পড়েছেন সেখানকার কৃষকরা।
সবুছ চাদর বিছানো নিলগিরিস জেলার অনেকটাই বন। পাহাড়ের গায়ে জমাট বাধা ঘন কুয়াশা দৃষ্টিসীমা সীমিত করে দিচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও তীব্র শীতের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। শীতজনিত রোগবালাই লেগেই রয়েছে।
এত তীব্র ঠান্ডা এবং শুষ্ক পরিবেশ এখানে অস্বাভাবিক বলে এনডিটিভিকে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরকারি তথ্যানুসারে, উধাগামন্ডলমের কাঁথাল এবং থালাইকুন্থায় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যখন বোটানিক্যালগার্ডেনে পারদ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উচ্চতায় ছিল। স্যান্ডিনাল্লাহে ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পাহাড়ি এই জনপদে খানিকটা অসময়ে ‘অস্বাভাবিক’ এই ঠান্ডা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবেশকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নিলগিরিস এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি ট্রাস্ট (এনইএসটি) এর ভি শিভাদাসের বিশ্বাস, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং এন-নিনোর প্রভাবে এমনটা হচ্ছে।
“এবার শীত মৌসুমে নয় বরং বিলম্বে শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার এ ধরণের পরিবর্তন নিলগিরিসের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। যা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।”
নিলগিরিসের পাহাড়গুলোতে মূলত চা চাষ হয়। অস্বাভাবিক ঠান্ডা চা গাছের ক্ষতি করছে। শীত পড়ার আগে গত ডিসেম্বর মাসে অস্বাভাবিক ভারি বৃষ্টি এবং এখন অস্বাভাবিক ঠান্ডার কারণে আগামী মাসগুলোতে চা উৎপাদন কমে যাবে।
সবজি চাষীরা বলেছেন, তীব্র ঠান্ডায় তাদের সবজি উৎপাদনও ব্যহত হচ্ছে। বিশেষ করে বাঁধাকপি উৎপাদন।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা এন রবিচন্দ্রন বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে সকালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
যারা যানবাহন চালান তাদের জন্যও বিষয়টি দারুণ চ্যালেঞ্জের হয়ে গেছে। অনেকেই শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দিকাশি এবং ডায়রিয়ায় ভুগছেন।