এই ট্যাবলেট ব্যথা নিরাময়ের কাজ করলেও ২০২০ সালে এটিকে ‘খ’ শ্রেণির মাদক হিসাবে তালিকাভুক্ত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
Published : 20 Jan 2024, 11:18 AM
চিকিৎসার নাম করে একটি চক্র ভারত থেকে ‘ট্যাপেন্টাডল’ নামে এক ধরনের নেশাজাতীয় ট্যাবলেট এনে সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছিল বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারত ফেরত পাঁচ যাত্রীকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার এ কথা জানান অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সোলায়মান, হৃদয় ইসলাম রাজু, এ কে এম আবু সাইদ, আশিক সাইফ ও মো. ফারুক। তাদের কাছ থেকে ৪২ হাজার ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দের কথা জানানো হয়।
এই ট্যাবলেট ব্যথা নিরাময়ের কাজ করলেও ২০২০ সালে এটিকে ‘খ’ শ্রেণির মাদক হিসাবে তালিকাভুক্ত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, সোলায়মান প্রতি মাসে চিকিৎসার নামে চার-পাঁচবার ভারতে যেতেন। সেখান থেকে বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে নিষিদ্ধ এই ট্যাবলেট নিয়ে আসতেন।
“চিকিৎসা ভিসা নিয়ে একজন ভারতে যেতেন, তাদের সঙ্গে ভিন্নভাবে অন্যরাও যেতেন। আসার সময় তারা ফেনসিডিল বা ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতেন।”
বুধবার রাত ৯টার দিকে ভারত থেকে আসা একটি উড়োজাহাজের পাঁচ যাত্রীকে সন্দেহ হলে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে এসব ট্যাবলেট পাওয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)