কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ২১

কাবুলের উত্তরাংশের খাইর খান্না এলাকার সিদ্দিকিয়া মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, এতে নিকটবর্তী বাড়িগুলোর জানালা দুমড়েমুচড়ে যায়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2022, 09:04 AM
Updated : 18 August 2022, 09:04 AM

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি মসজিদে বড় ধরনের বিস্ফোরণে অন্তত ২১ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ চলাকালে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জারদান বৃহস্পতিবার জানান, ওই বিস্ফোরণে ২১ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ৩৩ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, কাবুলের উত্তরাংশের খাইর খান্না এলাকার সিদ্দিকিয়া মসজিদে ঘটা শক্তিশালী বিস্ফোরণে নিকটবর্তী বাড়িগুলোর জানালা দুমড়েমুচড়ে গেছে।

Also Read: কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত বেশ কয়েকজন

Also Read: কাবুলের মসজিদে বড় বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। কর্তৃপক্ষও প্রকাশ্যে এ হামলার জন্য কাউকে দায় দেয়নি।

তালেবান বলছে, তারা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করতে কাজ করছে।

এক বছর আগে এ গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত সরকারকে পরাজিত করে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তারপরও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ বড় কয়েকটি বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার কয়েকটির দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ।

কাবুলে একটি হাসপাতাল পরিচালনা করা ইতালীয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ইমার্জেন্সি জানিয়েছে, তারা ওই বিস্ফোরণে আহত ২৭ জনের চিকিৎসা দেওয়ার সময় জরুরি বিভাগে একজন মারা গেছে, আরও দুই জনকে মৃত অবস্থায় তাদের এখানে আনা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু আছে বলে জানিয়েছেন ইমার্জেন্সির আফগানিস্তানের পরিচালক স্তেফানো সোজ্জা।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে লিখেছেন, “বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকারী ও অপরাধীরা শিগগিরই তাদের অপরাধের জন্য শাস্তি পাবে।”

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও আছেন। ইমামের নাম মোল্লা আমির মোহাম্মদ কাবুলি বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত সপ্তাহে এই কাবুলেই আত্মঘাতী বোমা হামলায় তালেবানপন্থি এক ধর্মীয় নেতা নিহত হয়েছেন। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) তাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।