কাবুলে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত বেশ কয়েকজন

কাবুলের উত্তরাংশের খাইর খান্না এলাকার সিদ্দিকিয়া মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, এতে নিকটবর্তী বাড়িগুলোর জানালা দুমড়েমুচড়ে গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2022, 05:29 AM
Updated : 18 August 2022, 05:29 AM

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি মসজিদে বড় ধরনের বিস্ফোরণে অন্তত তিন জন নিহত হয়েছে ও বহু আহত হয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ চলাকালে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

কাবুলে একটি হাসপাতাল পরিচালনা করা ইতালীয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ইমার্জেন্সি জানিয়েছে, তারা ওই বিস্ফোরণে আহত ২৭ জনের চিকিৎসা দেওয়ার সময় তিন জন মারা গেছে; আহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু আছে।

একটি বার্তা সংস্থাকে ইমেইলে তারা বলেছে, “আমরা তিন জনের মৃত্যু রেকর্ড করেছি।”

কাবুলের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছে।

এক তালেবান গোয়েন্দা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, প্রায় ৩৫ জনের মতো আহত অথবা নিহত হয়েছে আর সংখ্যাটি বাড়তে পারে।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ মসজিদটিতে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন, কিন্তু সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানাননি।

টুইটারে তিনি লিখেছেন, “বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকারী ও অপরাধীরা শিগগিরই তাদের অপরাধের জন্য শাস্তি পাবে।”

পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে; কিন্তু সংখ্যা জানায়নি তারা।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জারদান রয়টার্সকে বলেছেন, “মসজিদের ভেতর একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অনেকে হতাহত হয়েছে, কিন্তু তাদের সংখ্যা এখনও পরিষ্কার হয়নি।”

Also Read: কাবুলের মসজিদে বড় বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কাবুলের উত্তরাংশের খাইর খান্না এলাকার সিদ্দিকিয়া মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, এতে নিকটবর্তী বাড়িগুলোর জানালা দুমড়েমুচড়ে গেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও আছেন। এ ইমামের নাম মোল্লা আমির মোহাম্মদ কাবুলি বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিস্ফোরণস্থলে গোয়েন্দা দলগুলো উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

গত সপ্তাহে এই কাবুলেই আত্মঘাতী বোমা হামলায় তালেবানপন্থি এক ধর্মীয় নেতা নিহত হয়েছেন। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) তাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।