তিন দিনে ১১ বার ভোট, প্রতিনিধি পরিষদ এখনও স্পিকার-শূন্য

প্রাক-গৃহযুদ্ধ যুগের পর স্পিকার নির্বাচনে এমন অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে আর দেখা যায়নি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2023, 12:31 PM
Updated : 6 Jan 2023, 12:31 PM

টানা তিন দিনে মোট ১১ বার ভোট হয়েছে। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ স্পিকার নির্বাচন করতে পারেনি।

প্রাক-গৃহযুদ্ধ যুগের পর স্পিকার নির্বাচনে এমন অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে আর দেখা যায়নি। প্রাক-গৃহযুদ্ধের সময় ১৮৬০ সালে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচনে মোট ৪৪ দফা ভোট হয়েছিল।

গত বছর নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পায়। কিন্তু স্পিকার নির্বাচন করতে ব্যর্থতার কারণে সদস্যরা শপথ নিতে পারছেন না এবং কোনও বিলও পাস করা যাচ্ছে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো ভোট হওয়ার পরও প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দলের নেতা কেভিন ম্যাককার্থি স্পিকার নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন।

তিনদিনে ১১ দফা ভোটেও কোনও ফল না আসায় বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদের কার্যক্রম শুক্রবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হতে একজন প্রার্থীর ২১৮ ভোট দরকার। ম্যাককার্থির স্পিকার নির্বাচিত হতে না পারার মূলে রয়েছেন তার দলেরই কট্টরপন্থি ২০ আইনপ্রণেতা। তারা ম্যাককার্থিকে ভোট দিচ্ছেন না।

বিদ্রোহী রিপাবলিকানরা ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেস সদস্য ম্যাককার্থির রক্ষণশীলতা নিয়ে সন্দিহান। এই রিপাবলিকানদের একজন সাউথ ক্যারোলাইনার রাল্ফ নরম্যান। বিবিসি-কে নরম্যান বলেন, ম্যাককার্থির ওপর তার আস্থা নেই।

তিনি জানান, ম্যাককার্থির টিম তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। লাইনে না এলে তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক জবাব দেওয়া হবে বলে শাসাচেছ।

ম্যাকার্থি অবশ্য বিদ্রোহী রিপাবলিকানদেরকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য করাসহ বেশকিছু ছাড় এবং কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কিন্তু বিদ্রোহীরা তাদের বক্তব্যে অনড়। নরম্যান বলছেন, “আমাদেরকে কমিটি থেকে ছুড়ে ফেলা হবে। আমাদের যাকিছু সুযোগ-সুবিধা আছে তা কেড়ে নেওয়া হবে।” তাই তারা তাদের বিশ্বাসভাজন কোনও নেতাকেই স্পিকার পদে চাইছে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হচ্ছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের পরে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। স্পিকার প্রতিনিধি পরিষদের আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করেন এবং স্পিকারকে ছাড়া সেখানে আইন প্রণয়নের কোনও কার্যক্রমও চলতে পারে না।