ভারতের গুরুগ্রামে মসজিদে হামলায় নিহত ১

হরিয়ানার নূহ এলাকার দাঙ্গার প্রভাব গুরুগ্রামে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি ইন্দ্রজিৎ সিং।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামে একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা মধ্যরাতে একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে, এতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির বয়স ২৬ বছর বলে জানা গেছে, তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সোমবার মধ্যরাতে এ হামলা চলাকালে গুরুগ্রামের ৫৭ নম্বর সেক্টরের আঞ্জুমান জামা মসজিদে আগুন দেওয়া হয়, দমকল বাহিনীর অগ্নিনির্বাপণ ট্রাকগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও গুরুগ্রামের এমপি রাও ইন্দ্রজিৎ সিং তার এলাকায় একটি মসজিদে হামলা হয়েছে এবং এ ঘটনায় মসজিদটির ইমামসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে গণমাধ্যম এনডিটিভিকে নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেশী হরিয়ানার নূহ এলাকার দাঙ্গার প্রভাব গুরুগ্রামে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, “গতকাল গুরুগ্রামের একটি মসজিদে হামলা হয়েছে। এতে ইমামসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

“আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আধা-সামরিক বাহিনীর ২০টি কোম্পানিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। নূহর ঘটনার প্রভাব গুরুগ্রামেও পড়েছে।”

এ হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, তারা হামলাকারীদের শনাক্ত করেছে, তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গুরুগ্রামের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শান্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও পুলিশ, উভয়েই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ঘটনার পর গুরুগ্রামের অন্তত তিনটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে সোমবার গুরুগ্রামের পাশ্র্ববর্তী হরিয়ানা রাজ্যের নূহ এলাকায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গা শুরু হয়। দাঙ্গায় দুই নিরাপত্তারক্ষীসহ চারজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন।

আরও পড়ুন:

ভারতের হরিয়ানায় ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ৪