তিনি জনগণকে বিদেশে অর্থ খরচ না করে জম্মু ও কাশ্মীরের মত ভারতীয় লোকেশনগুলো বিয়ের আয়োজন করতে বেছে নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেন।
Published : 07 Mar 2024, 06:07 PM
নিজের পরবর্তী লক্ষ্য ‘ওয়েড ইনি ইন্ডিয়া’ এবং বিদেশে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন না করে ভারতীয়দের জম্মু ও কাশ্মীরে আসা উচিত বলে মনে করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের শ্রীনগরে আয়োজিত জনসভায় মোদী নিজের এই লক্ষ্যের কথা জানান বলে জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়া।
তিনি জনগণকে বিদেশে অর্থ খরচ না করে জম্মু ও কাশ্মীরের মত ভারতীয় লোকেশনগুলো বিয়ের আয়োজন করতে বেছে নেওয়ার জন্য উৎসাহ দেন।
এবার জি২০ সম্মেলনও আয়োজন করা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। ওই আয়োজনের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মোদী আরো বলেন, বিশ্ব এখন ওই অঞ্চলে পর্যটনের ব্যাপক প্রসার দেখছে।
বলেন, “বিশ্ব দেখেছে জম্মু ও কাশ্মীরে কিভাবে জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এমনও সময় গেছে যখন লোকজন বলতো পর্যটনের জন্য কে কাশ্মীর যাবে?। আজ, জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন খাত সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে।”
জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর প্রথমবারের মত মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীর সফরে গেলেন মোদী। তার এ সফর ঘিরে পুরো কাশ্মীর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়।
মোদীর সফর ঘিরে কাশ্মীরে ব্যাপক নিরাপত্তা
২০১৯ সালের অগাস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন এবং বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত দুইটি আলাদা অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে ভাগ করে মোদী সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর ছিল মুসলমান অধ্যুষিত ভারতের একমাত্র রাজ্য।
ভারতে লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। কয়েক দিনের মধ্যে ভোটের তারিখও ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনী প্রচার চালাতেই মোদী কাশ্মীর গেছেন। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি জম্মু সফর করে এসেছেন। জম্মুর অধিকাংশ বাসিন্দা হিন্দু।
বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের বকশি স্টেডিয়ামে মোদীর জনসভার আয়োজন করা হয়। মোদী তার ভাষণের শুরুতেই বলেন, পর্যটন খাতের উন্নয়ন এবং কৃষকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আগ্রগতি সাধন হবে।
“স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারার কারণে জম্মু ও কাশ্মীর উন্নয়ন নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে।”
অমরনাথ এবং বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বিদেশি পর্যটকের আগমনও আড়াই গুণ বেড়ে গেছে।
“আগে পর্যটকরা জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণে যেতে দ্বিধা করতো। কিন্তু আজ জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটনের সব রেকর্ড ভেঙেছে। শুধু ২০২৩ সালে দুই কোটির বেশি পর্যটক জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন।”