নিরাপত্তাজনিত কারণে ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়নি।
Published : 14 Jan 2024, 10:01 AM
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান কোথায় আছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইসলামাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ইমরানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে নিয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য আসছে।
ইমরানকে এতদিন রাখা হয়েছিল পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে। সেই কারাগারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়নি, তিনি এখনো তাদের হেফাজতেই আছেন।
পাকিস্তানের ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডন জানিয়েছে, সোমবার রাত পর্যন্ত ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়নি মূলত দুটি কারণে; নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এবং লিখিত আদেশ না পৌঁছানো।
ইমরানকে রাওয়ালপিন্ডির কারাগারে হস্তান্তর করার এক আবেদনের শুনানিকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক দেখতে পান, পাকিস্তানের রাজধানীর আদালতগুলোতে বিচারাধীন সব মামলার আসামিদের আদিয়ালায় রাখা হয়, কিন্তু ইমরানকে রাখা হয়েছে অ্যাটকে। তিনি ইমরানকে দ্রুত আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
শুনানিকালে ইমরানের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, তোষাখানা মামলায় ইমরানের দণ্ড স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট আর এখন তিনি ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতের অধীনে সাইফার মামলায় বিচারাধীন, ফেডারেল অঞ্চলের বিচারাধীন হিসেবে ইমরানকে অবশ্যই আদিয়ালা কারাগারে রাখা উচিত।
বিচারপতি ফারুক তাদের দাবি মেনে নিয়ে জানান, দণ্ড স্থগিত হওয়ায় কারাবন্দি হিসেবে ইমরানের মর্যাদারও পরিবর্তন হয়েছে। তিনি ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে সরিয়ে নিয়ে কারাগার কর্তৃপক্ষকে তার প্রাপ্য সব মর্যাদা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
কিন্তু বিচারপতি ফারুখ ফেডারেল জুডিশিয়াল একাডেমিতে অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে লিখিত আদেশ দেননি। ওই লিখিত আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত অ্যাটক কারাগার কর্তৃপক্ষ ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠাতে পারবে না।
কিন্তু পরে কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে ইমরানের আইনজীবী দলের বিশিষ্ট সদস্য ব্যারিস্টার নাঈম পাঞ্জোতা দাবি করেন, ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিন্তু অ্যাটক কারাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা ইমরানকে আদিয়ালায় পাঠাননি।
নাঈম পাঞ্জোতা সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ইমরানকে আদিয়ালা কারাগারে পাঠানোর খবর তাকে জানানো হয়েছে, কিন্তু অ্যাটক কারাগার কর্তৃপক্ষ বলছে অন্য কথা। আসলে কী ঘটছে, তা তার বোধগম্য হচ্ছে না।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)