ইউক্রেইনে ওয়াগনারের ৩০ হাজারের বেশি হতাহত, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেইনে যুদ্ধে গ্রুপটির যারা নিহত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই দাগী আসামী, বলেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2023, 11:20 AM
Updated : 18 Feb 2023, 11:20 AM

ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে রুশ প্যারামিলিটারি ওয়াগনার গ্রুপের ৩০ হাজারেরও বেশি সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওয়াগনার গ্রুপের হতাহত সেনার সংখ্যা বেড়েছে, কেবল মারাই গেছে ৯ হাজারের মতো।

ওয়াগনার গ্রুপ মূলত রাশিয়ার বিভিন্ন কারাগার থেকে সদস্য সংগ্রহ করে। ইউক্রেইনে যুদ্ধে গ্রুপটির যারা নিহত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই দাগী আসামী, বলেছেন কারবি।

এই হতাহত সত্ত্বেও ওয়াগনার বাখমুত শহরের আশপাশে যুদ্ধে সফলতা পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এখন পূর্বাঞ্চলীয় এ শহরটির আশপাশেই তুমুল লড়াই চলছে, ওয়াগনার সেটি দখলে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শহরটি দখলে নিতে পারলে রাশিয়া আরও পশ্চিমে ক্রামাতোরস্ক ও স্লোভিয়ানিস্কের মতো বড় শহরের দিকে অগ্রসর হতে পারবে।

দীর্ঘ সময় এবং যে ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে ওয়াগনার বাখমুতে খানিকটা সফলতা দেখিয়েছে, তার চেয়ে বেশি অগ্রসর হওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে।

শহরটির সামরিক গুরুত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

“হতে পারে তারা বাখমুখে সফল, কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটা তাদের কোনো সুবিধা দেবে না, কেননা আদতেই শহরটির কৌশলগত কোনো মূল্য নেই,” সাংবাদিকদের বলেছেন কারবি।

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুমান, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার নিয়মিত বাহিনী ও ওয়াগনার মিলিয়ে এক লাখ ৭৫ হাজার থেকে দুই লাখ হতাহত হয়েছে, যেখানে নিহত থাকতে পারে ৪০-৬০ হাজার।

ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর আগে ওয়াগনার বেশ ছোটই ছিল, হাজার পাঁচেক যোদ্ধা ছিল তাদের, যাদের বেশিরভাগই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাবেক সেনাসদস্য।

গত বছর তারা লাখো নতুন সদস্য নেয়; যাদের বেশিরভাগই কারাগার থেকে যায় বলে ভাষ্য যুক্তরাষ্ট্রের। ওই দণ্ডপ্রাপ্তদের অর্ধেকই ইউক্রেইনে হতাহত হয়েছে বলে ধারণা যুক্তরাজ্যের।

ওয়াগনার ও রাশিয়ার নিয়মিত বাহিনীর মধ্যে চলা উত্তেজনার মধ্যে কয়েকদিন আগে প্যারামিলিটারি গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা প্রিগোজিন জানান, তিনি কারাগার থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহ বন্ধ করে দিচ্ছেন।

“ওয়াগনার ইউনিটের সংখ্যা কমবে, তাতে আমরা যা করতে চেয়েছিলাম, তা করতে পারবো না,” বলেছেন তিনি।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার মন্থর অগ্রগতির জন্য মস্কোর ‘দৈত্যাকার আমলাতন্ত্রকে’ দোষারোপ করে আসছেন প্রিগোজিন। অতীতে রাশিয়ার সেনারা অন্যায়ভাবে ওয়াগনারের সফলতার ভাগ নিয়েছে বলেও তার অভিযোগ।

ওয়াগনার ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে তাদের অপারেশন চালায়, এরপর থেকে ইউক্রেইনের বিভিন্ন অংশ, সিরিয়া ও আফ্রিকাতেও তাদের উপস্থিতি বিদ্যমান।