রোববার প্রথম রাউন্ডেই লুলা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে পারেন বলে বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তেমনটা হলে আর দ্বিতীয় রাউন্ড ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।
Published : 02 Oct 2022, 11:30 AM
ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোতে লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা প্রথম রাউন্ডে বিরাট ব্যবধানে জিততে যাচ্ছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
রোববার দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ড হতে যাচ্ছে; এতে বামপন্থি লুলার সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্ট কট্টর ডানপন্থি জাইর বোলসোনারোরই মূল লড়াই হবে।
এদিনই লুলা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে পারেন বলে বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তেমনটা হলে আর রান অফ ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।
ভোটের আগে শনিবার প্রকাশিত অন্তত দুটি জরিপে লুলাকে বোলসোনারোর তুলনায় ১৪ পয়েন্ট এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর মধ্যে জরিপসংস্থা আইপিইসির হিসাব বলছে, ফাঁকা ও নষ্ট ব্যালট বাদ দিয়েই বৈধ ভোটের ৫১ শতাংশ পেতে যাচ্ছেন লুলা।
আর ডাটাফোলহার জরিপ বলছে, দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশ পরিচালনা করা তুমুল জনপ্রিয় লুলা পাচ্ছেন বৈধ ভোটের ৫০ শতাংশ।
শনিবার প্রকাশিত সিএনটি/এমডিএ এবং জেনিয়াল/কোয়ায়েস্টের দুটি জরিপেও লুলাই ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। এই দুই জরিপে তিনি বৈধ ভোটের যথাক্রমে ৪৮ ও ৪৯ শতাংশ পেতে যা্ছেন বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
রোববারের নির্বাচনে লুলা, বোলসোনারোসহ মোট ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম রাউন্ডে কোনো প্রার্থীই যদি বৈধ ভোটের ৫০ শতাংশের বেশি না পান, তাহলে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় রাউন্ড ভোট হবে।
লুলা সাংবাদিকদের বলেছেন, রোববারই নির্বাচনী দৌড়ের লড়াই শেষ হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ৬৭ বছর বয়সী সাবেক সেনা ক্যাপ্টেন বোলসোনারো তিন দশক ধরে ব্রাজিলের পার্লামেন্টে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন শিথিল এবং গর্ভপাত ও সমকামিতার বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন।
২০১৮ সালে রক্ষণশীলদের জোয়ার তাকে প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দেয়।
ডানপন্থি এ রাজনীতিক সাও পাওলো ও দক্ষিণের রাজ্য সান্তা কাতারিনায় মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচার শেষ করেছেন।
আর লুলা প্রথমে একটি ছাদখোলা গাড়িতে করে, পরে হাজার হাজার উল্লসিত সমর্থকের সঙ্গে হেঁটে প্রচার চালিয়েছেন। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও এদিন তাকে দেখতে হাজার হাজার সমর্থক সাও পাওলোর কেন্দ্রস্থলে হাজির হয়। লুলার এদিনের কর্মসূচির নাম ছিল ‘ওয়াক অব ভিক্টরি’।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক এ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা প্রথম রাউন্ডে জয়ী হচ্ছেন ধরে নিয়ে সাও পাওলোর কেন্দ্রস্থলের পলিস্তা অ্যাভেনিউতে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে রেখেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। ১৯৮০-র দশকে যারা দলটি বানান, লুলা ছিলেন তাদের অন্যতম।
এ নিয়ে ষষ্ঠবার তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন।
ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমের কারণে রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কর্তৃপক্ষ ফল ঘোষণা করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বোলসোনারো এই ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমের তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন। তার মতে, এই ধরনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির সুযোগ থাকে। ভোটে হেরে গেলে তা মেনে না নেওয়ার হুমকিও আছে তার।