মঙ্গলবার শস্য আমদানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
Published : 20 Jan 2024, 04:02 PM
ইউক্রেইনের কট্টর মিত্রদের অন্যতম পোল্যান্ড ঘোষণা করেছে, খাদ্যশস্য নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত দেশটিতে আর অস্ত্র সরবরাহ করবে না তারা, এর বদলে তারা নিজেদের দেশকেই অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করার দিকে মনোযোগ দেবে।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকার মধ্যে এ পদক্ষেপ নিল পোল্যান্ড। জাতিসংঘে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কির করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করেছিল দেশটি। জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, কিছু দেশ ইউক্রেইনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার ‘ভান’ করেছিল।
জেলেনস্কির এ মন্তব্যের নিন্দা করে ওয়ারশ বলেছে, যুদ্ধের প্রথম দিন থেকে পোল্যান্ড ইউক্রেইনকে সমর্থন দিয়ে আসছে, পোল্যান্ড সম্পর্কে এ ধরনের উক্তি অন্যায্য।
মঙ্গলবার শস্য আমদানি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এর পরদিন বুধবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউশ মোরাভিয়াস্কি ইউক্রেইনকে আর অস্ত্র সরবরাহ না করার ঘোষণা দেন।
রাশিয়া গতবছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর কৃষ্ণসাগরের প্রধান শিপিং লাইনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ইউক্রেইন তখন বিকল্প হিসেবে স্থলপথ দিয়ে রপ্তানি করতে বাধ্য হয়। তাতে দেখা যায় অন্য জটিলতা। ইউক্রেইন থেকে বিপুল পরিমাণ শস্য ইউরোপের মধ্যাঞ্চলে পৌঁছতে শুরু করে। তাতে ওই অঞ্চলের দেশগুলোর বাজারে স্থানীয় পণ্যের মূল্য পড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
এ সমস্যা সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মধ্য ইউরোপের পাঁচটি দেশ, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ায় অস্থায়ীভাবে শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ১৫ সেপ্টেম্বর ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে ইইউ তা আর নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও পোল্যান্ড এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ইউক্রেইনের রপ্তানি করা শস্য এসব দেশের ভেতর দিয়ে তৃতীয় দেশে যেতে পারবে বলে দেশগুলো জানায়।
এর বিরোধিতা করে চলতি সপ্তাহে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) একটি অভিযোগ দায়ের করে ইউক্রেইন। সেখানে তারা বলে, ওই তিন দেশের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতরা লঙ্ঘন। ইইউয়ের ওই সদস্য দেশগুলো এককভাবে ইউক্রেইনের পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে না।
অন্যদিকে পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে, ডব্লিউটিওতে অভিযোগ করে তাদের টলানো যাবে না।
সংবাদসুত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)