বৈচিত্র্য, ন্যায়পরায়ণতা এবং অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) কর্মসূচিতে কাজ করা সব সরকারি কর্মচারিকে তাৎক্ষণিকভাবে এই ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
Published : 22 Jan 2025, 09:58 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শতাধিক নির্বাহী আদেশ সইয়ের পরই কর্মযজ্ঞে নেমে পড়েছেন। নানা পদক্ষেপের মধ্যে এবার তিনি বৈচিত্র্য, ন্যায়পরায়ণতা এবং অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) কর্মসূচিতে কাজ করা সব সরকারি কর্মচারিকে তাৎক্ষণিকভাবে সবেতন ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী ব্যবস্থাপনা দপ্তর থেকে প্রকাশিত একটি স্মারকের ভিত্তিতে বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা একটি নির্বাহী আদেশের পরই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ডিইআই প্রকল্পকে 'বিপজ্জনক, অবমাননাকর এবং অনৈতিক' উল্লেখ করে এটি বন্ধ করতে বলা হয়েছে এ আদেশে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের সব ফেডারেল ডিইআই (ডাইভার্সিটি, ইকুয়্যিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন) স্টাফকে বুধবার রাত ১০ টা (২২.০০ জিএমটি) সময়সীমার মধ্যে ছুটিতে যেতে হবে। এর মানে, আপাতত তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে, তবে তারা বেতন নিয়মিত পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা ডিইআই কর্মসূচি এমন এক উদ্যোগ যা বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষকে, বিশেষ করে যারা কর্মক্ষেত্রে প্রায়ই উপেক্ষিত হন, তাদের সহায়তা করার জন্য কাজ করে থাকে।
আর ডিইআই কর্মসূচির আওতায় পড়েন তারাই যারা কর্মক্ষেত্রে, সমাজে বা শিক্ষাক্ষেত্রে অবহেলিত, বঞ্চিত বা প্রতিনিধিত্বের অভাবে ভুগছেন। এদের মধ্যে থাকতে পারে জাতিগত ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠী- যারা বর্ণ, জাতি বা নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের কারণে বৈষম্যের শিকার। পুরুষশাসিত কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার নারীরাও এর আওতায় পড়ে।
তাছাড়া, অভিবাসী, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর ব্যক্তি, নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে আসা ব্যক্তি,বয়স্ক কর্মী বা তরুণ প্রজন্ম এবং ধর্মবিশ্বাসের কারণে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকাররাও ডিইআই এর আওতায় পড়বে।
গত সোমবার উদ্বোধনী ভাষণে ট্রাম্প একটি বর্ণান্ধ ও মেধা ভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মঙ্গলবারের নির্বাহী আদেশে ডিইআই (ডাইভার্সিটি, ইকুয়্যিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন) এবং ডিইএআই (ডাইভারসিটি, ইক্যুইটিম ইনক্লুশন এবং অ্যাকসিসিবিলিটি) কে যুক্তরাষ্ট্রের আইন পরিপিন্থি এবং এই কর্মসূচির নীতিমালা অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ট্রাম্পের আদেশে।