বরখাস্ত সুয়েলা ব্রাভারম্যান। যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। যিনি এতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলে এসেছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সোমবার সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে বরখাস্ত করেন। তাকে বরখাস্তের কারণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে গত শনিবার লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ সমাবেশ পুলিশ যেভাবে সামলেছে তার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। ব্রাভারম্যান ওই বিক্ষোভ মিছিলকে ‘বিদ্বেষমূলক মিছিল’ বলেও মন্তব্য করেন। যার জেরে লন্ডনে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, লন্ডনের বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ে ব্রাভারম্যানের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা। তারা ব্রাভারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন। এমনকি সুনাকের নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের কাছ থেকেও ব্রাভারম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার চাপ আসে। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী তাকে ‘সরকার ত্যাগ করতে’ বলেন বলেন। ব্রাভারম্যান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নেন।
সরে যাওয়ার পর ব্রাভারম্যান বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছিল আমার জন্য সবচেয়ে সম্মানের।
“যথা সময়ে আমি আরো কিছু কথা বলবো।”
ব্রাভারম্যানের সরে যাওয়ার পরই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়, তবে কে হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য নতুন নাম জানা যায়। তিনি হলেন, জেমস ক্লেভারলি। তিনি এতদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
ব্রাভারম্যানের যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছাড়ার ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন। কিন্তু সেবার ব্যক্তিগত ইমেইল থেকে ‘অফিসিয়াল ডকুমেন্ট’ পাঠানো কাণ্ডের জেরে হইচই শুরু হলে দায় স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন ব্রাভারম্যান। সেবার তিনি মাত্র ৪৩ দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলান।
তবে তার পদত্যাগের পর ট্রাস সরকার মাত্র কয়েকদিনই টিকে ছিল। ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আবারও ব্রাভারম্যানকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনেন। তার পদত্যাগে ও দায়িত্বে ফিরে আসার মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র ছয়দিন।