ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হওয়ার পর থেকে ভ্যাটিকানেই প্রথমবার সাক্ষাৎ হল তাদের।
Published : 26 Apr 2025, 05:49 PM
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার আগে সেইন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৈঠক করেছেন।
শনিবারের ১৫ মিনিটের এ বৈঠককে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে বলে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউজ। শনিবার পরবর্তী সময়ে এই দুই নেতা আবার বৈঠকে বসবেনে বলে ইউক্রেইনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটার’স চত্বরে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় ট্রাম্প ও জেলেনস্কির পাশাপাশি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, যুবরাজ উইলিয়াম, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভাসহ অনেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা উপস্থিত আছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের ওভাল দপ্তরে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হওয়ার পর থেকে ভ্যাটিকানেই প্রথম সাক্ষাৎ হল তাদের। ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শেষ করা নিয়ে আলোচনার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তাদের মধ্যে বৈঠক হল।
শুক্রবার ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেইন ‘একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি’ পৌঁছে গেছে। মস্কোতে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। এর একদিন পর জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করলেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক স্টিভেন চন বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আজ একান্তে দেখা করেছেন এবং খুব ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকের বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”
ইউক্রেইন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি বছর চতুর্থবারের মতো রাশিয়ায় গেলেন মার্কিন দূত উইটকফ। শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে তিন ঘণ্টা ধরে কথা বলেছেন তিনি। পরে পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকোভ এ বৈঠককে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করেন।
উশাকোভ বলেন, “এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও কাছাকাছি এসেছে, শুধু ইউক্রইন নিয়ে নয় নানা আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গেও কাছাকাছি এসেছে। ইউক্রেইন-রাশিয়া সরাসরি শান্তি আলোচনা আবার শুরুর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
যুদ্ধ শেষ করতে মস্কোর সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিতে কিইভের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন ট্রাম্প। এসব অঞ্চলের মধ্যে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপও আছে। তবে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে শান্তি আলোচনায় রাজি হওয়ার এ প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন জেলেনস্কি।
পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলার সময় বিশ্ব নেতাদের আসন ব্যবস্থা ফরাসি বর্ণের ক্রমানুযায়ী সাজানো হয়েছে, তাই ট্রা্ম্প ও জেলেনস্কির বসার আসন কাছাকাছি হয়নি।