উড়োজাহাজটি মাটিতে আছড়ে পড়ার পর বিস্ফোরণে অগ্নিগোলক তৈরি হয় এবং কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
Published : 25 Dec 2024, 01:58 PM
আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, বেঁচে গেছেন বাকি ৩১ আরোহী।
কাজাখস্তানের স্থানীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের বাকু থেকে ৬৯ জন আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজটি চেচনিয়ার গ্রজনিতে যাচ্ছিল। কিন্তু কাজাখস্তানের আকাশসীমায় সেটি বিধ্বস্ত হয়ে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বুধবার আকতাউ শহরের কাছে এ ঘটনার পর জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এমব্রায়ার-১৯০ উড়োজাহাজটিতে পাঁচজন ক্রু ছিলেন, বাকিরা যাত্রী। তাদের বেশিরভাগই আজারবাইজানের নাগরিক। রাশিয়া, কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তানের যাত্রীও ছিলেন।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ফ্লাইট জে২-৮২৪৩ বাকু থেকে চেচনিয়ার রাজধানী গ্রজনিতে যাচ্ছিল। কিন্তু কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের তিন কিলোমিটার দূরে সেটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিল।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, কুয়াশার কারণে যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছিল উড়োজাহাজটি। পরে আকতাউ বিমানবন্দরের কাছে সেটি বিধ্বস্ত হয়।
রয়টার্স লিখেছে, উড়োজাহাজটি মাটিতে আছড়ে পড়ার পর বিস্ফোরণে অগ্নিগোলক তৈরি হয় এবং কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
উড়োজাহাজটি ঠিক কী ধরনের সমস্যায় পড়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কাজাখ কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এমব্রায়ারও তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
রাশিয়ার এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে তাদের ধারণা হয়েছে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ রাশিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশের পথে রওনা হন। একটি সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি রাশিয়া গিয়েছিলেন।