রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেষ দিনের ভোটগ্রহণ চলছে

পুতিন বিরোধীদের ভোটের শেষ দিন রোববার ভোটকেন্দ্রে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কথা রয়েছে। যে বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নুন এগেইনস্ট পুতিন’ বা ‘পুতিনের বিরুদ্ধে দুপুর’।

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিন দিন ভোট গ্রহণের শেষ দিন রোববার ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও ছয় বছরের জন্য দেশটির ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৫ মার্চ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দুই দিনে দেশজুড়ে অর্ধেকের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

চূড়ান্ত দিনে পুতিন বিরোধীদের ভোটকেন্দ্রে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কথা রয়েছে। যে বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নুন এগেইনস্ট পুতিন’ বা ‘পুতিনের বিরুদ্ধে দুপুর’।

গত মাসে রাশিয়ার একটি কারাগারে মারা যাওয়া দেশটির বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি এভাবে পুতিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে নাভলনির স্ত্রী ইউলিয়া তার স্বামীর সমর্থক এবং পুতিন বিরোধীদের ভোটের চূড়ান্ত দিন রোববার দুপুরে দেশজুড়ে একই সময়ে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে এসে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের অস্তিত্ব ও শক্তির প্রদর্শন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাশিয়া জুড়ে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। তবে ইউক্রেইনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভোটের উপর বড় ছায়া ফেলে রেখেছে।

শুক্রবার ভোটের প্রথম দিন পুতিন কিইভের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, রাশিয়ার মূলভূখণ্ডে এবং ইউক্রেইনে মস্কোর নিয়ন্ত্রণে থাকা অংশে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইউক্রেইন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছে। এজন্য ইউক্রেইনকে শস্তি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি।

স্থানীয় রুশ কর্মকর্তারা রোববার ভোরে জানান, ইউক্রেইন সীমান্তবর্তী রুশ অঞ্চলগুলোতে হামলা অব্যাহত রেখেছে কিইভ বাহিনী।

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার রাতে তার ভিডিও বার্তায় ইউক্রেইন থেকে রাশিয়ার মূলভূখণ্ডে হামলার বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে তিনি তার সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দাদের ‘দীর্ঘ পাল্লার হামলার নতুন সক্ষমতার’ প্রশংসা করে তাদের ধন্যবাদ দেন।

রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেইনের কিছু অঞ্চলেও ভোট হচ্ছে। যাকে অবৈধ ও অকার্যকর বলেছে কিইভ।

ইউক্রেইন মূলত রাশিয়ার জ্বালানিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। সামরিক বিশ্লেষকরা কিইভের এই প্রতিদিনকার হামলাকে রুশদের স্থিতিশীলতার অনুভূতিকে নাড়া দেওয়া এবং মস্কোর যুদ্ধপ্রচেষ্টাক দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।

রাশিয়ায় ১১টি টাইম জোনে এই ভোট হচ্ছে। পুতিন ছাড়াও ব্যালটে আরো তিন প্রার্থীর নাম রয়েছে। যদিও তাদের কেউই ৭১ বছর বয়সী পুতিনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ধারেকাছেও নেই।