কেকে সুপারমার্ট মালয়েশিয়ার খুচরা পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম চেইন শপ। তারা ওই মোজার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
Published : 30 Mar 2024, 12:57 PM
মালয়েশিয়ার একটি খুচরা পণ্যের চেইন শপে বিক্রির জন্য রাখা মোজায় ‘আল্লাহ’ লেখা মুদ্রিত থাকায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ঘটনায় চেইন শপটির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনার জেরে শনিবার চেইন শপটির একটি আউটলেটে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিন স্থানীয় সময় ভোরের একটু আগে পূর্বাঞ্চলীয় পাহাং রাজ্যের কুয়ানতান জেলায় কেকে সুপারমার্টের ওই দোকানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে, টেলিফোনে রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন কুয়ানতানের পুলিশ প্রধান ওয়ান মোহাম্মদ জাহারি ওয়ান বুসু।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় দোকানটির সামনে রাখা কিছু পণ্যে আগুন ধরে যায়, তবে দোকানটির কর্মচারীরা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
ওয়ান মোহাম্মদ জাহারি জানান, এ হামলার ঘটনায় কোনো সন্দেহভাজনকে পুলিশ এখনও শনাক্ত করতে পারেনি, তবে তারা ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজগুলো পরীক্ষা করে দেখছেন ও সবাইকে শান্ত থাকার জন্য এলাকাজুড়ে প্রচার চালাচ্ছেন।
ঘটনাটি ওই মোজা বিক্রির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে ধারণা তার, তবে তারপরও তারা ‘তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার পেরাক রাজ্যে কেকে সুপারমার্টের আরেকটি দোকানেও এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছিল। দোকানটিতে একটি পেট্রল বোমা ছোড়া হয়েছিল বলে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বেরনামা জানিয়েছে।
কেকে সুপারমার্টের দোকানগুলোতে বিক্রির জন্য রাখা ওই মোজার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশটির মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় মঙ্গলবার কেকে সুপারমার্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চাই কি কান এবং তার স্ত্রী কোম্পানিটির একজন পরিচালক লোহ সিউ মিউসহ প্রতিষ্ঠানটির পণ্য সরবরাহকারীর তিন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তবে এরা সবাই আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন বলে রেবনামা জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ায় ধর্ম একটি স্পর্শকাতর বিষয়। দেশটির তিন কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ মালয় জাতিগোষ্ঠীর মানুষ আর এদের অধিকাংশই মুসলিম। দেশটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাতিগত চীনা ও সংখ্যালঘু ভারতীয় জনগোষ্ঠী আছে।
কেকে সুপারমার্ট মালয়েশিয়ার খুচরা পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম চেইন শপ। তারা ওই মোজার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। বিষয়টি তারা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে ওইসব মোজা বিক্রি বন্ধ করেছে বলে জানিয়েছে।