অভিযোগনামায় সেনা কর্মকর্তার নাম বাদ দিতে ইমরান রাজি না হওয়ায় তার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরে এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
Published : 05 Nov 2022, 12:35 PM
পাকিস্তানের লংমার্চ চলার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার একদিন পর তদন্তকারীরা সন্দেহভাজন আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করলেও এ ঘটনায় মামলা (এফআইআর) দায়ের করা নিয়ে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
মামলার অভিযোগনামা থেকে জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার নাম বাদ দিতে ইমরান খানের অস্বীকৃতির কথা শোনা যাওয়ার পর এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। এ অভিযোগনামায় নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও।
পাকিস্তানের দৈনিক ডন জানায়, মামলায় সেনা কর্মকর্তার নাম রাখার জন্য অনবরতই তাগাদা দিচ্ছেন ইমরান খান। এতে দোটানায় পড়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহি।
বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার পাঞ্জাবের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ফয়সাল শাহকার এবং জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারাসহ প্রাদেশিক আইনমন্ত্রীও।
বৈঠক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ডনকে বলেন, বৈঠকে মামলা দায়েরের জন্য সব আইনি দিক–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে যে, মামলা দায়েরে আরও দেরি হলে প্রমাণ সুরক্ষিত রাখা এবং ইমরান খানের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার সব প্রচেষ্টা ভেস্তে যেতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইমরান খানের লংমার্চ চলাকালে পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে ওই হামলা হয়। এতে দলীয় একজন কর্মী নিহত হন এবং আহত হন ইমরান খান ও পিটিআইয়ের কয়েকজন নেতাসহ ১৪ জন।
ইমরান খান তার ওপর এই হামলার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সালকে দায়ী করেন।
ঘটনার রাজনৈতিক আবহের দিকটি উল্লেখ করে বৈঠক সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এলাহি মামলায় জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার নাম রাখার ‘যুক্তির’ পক্ষে নন। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতাদের মধ্যে বহুবার বৈঠক হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী সেনা কর্মকর্তার নাম না দেওয়ার জন্য তাদেরকে রাজি করানোরও চেষ্টা করেছেন।
“থানায় এফআইআর দায়ের নিয়ে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক জোট সরকার এবং জোট মিত্র পাকিস্তান তেহরিক ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর মধ্যে আলোচনা চলছে” বলে জানান তিনি।
এফআইআর দায়ের হলেই ঘটনার তদন্ত শুরু হতে পারবে। কিন্তু তা নিয়ে অচলবস্থা দেখা দেওয়ায় এখন হামলার কয়েকজন সন্দেভাজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরও ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া থমকে রইল।