কর্ণাটকের ঘাঁটি বাঁচাতে ময়দানে জোর লড়াই মোদীর

আগামী বুধবার কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 May 2023, 02:41 PM
Updated : 8 May 2023, 02:41 PM

ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগে শেষ মুহূর্তে জোর প্রচার চালাচ্ছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

আগামী বুধবার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ক্ষমতা ধরে রাখতে দলের হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ব্যাপকভাবে প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ১০ দিনে তিনি সেখানে ১৭টি জনসমাবেশ এবং পাঁচটি মিছিলে অংশ নিয়েছেন।

প্রচারের কাজে এমনকী তিনি দুই রাত দক্ষিণের ওই রাজ্যটিতে কাটিয়েছেন। এমন ঘটনা বেশ বিরল। মোদী সাধারণত রাজধানী দিল্লির বাইরে রাত কাটান না।

প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টির প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলীয় প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। তারা ‍পুরো রাজ্যজুড়ে কয়েক ডজন র‌্যালি ও সমাবেশ করেছেন। মল্লিকার্জুনের নিজ রাজ্য কর্ণাটক।

রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা ছাড়াও কর্ণাটকের এই নির্বাচনের আলাদা একটি গুরুত্ব আছে। আগামী বছর ভারতের জাতীয় নির্বাচন। সেখানে কী ফল আসতে চলেছে তার খানিকটা পূর্বাভাস কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে পাওয়া যাবে বলে ধারণা রাজনীতি বিশ্লেষকদের।

তাই, বিজেপি কর্মীরা গভীর প্রত্যাশা নিয়ে মোদীর নির্বাচনী প্রচারের দিকে তাকিয়ে আছেন।

কর্ণাটক এমন একটি রাজ্য যেখানে সেই ১৯৮৫ সালের পর সবসময়ই ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভোটে জিতেছে।

কর্ণাটকে ২০১৮ সালে সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে ২২৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি জেতে ১০৪টি আসনে, কংগ্রেস পায় ৭৮টি আসন এবং জেডিএস ৩৭।

কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল।

বিজেপি-কে রুখতে কংগ্রেস–জিডিএস মিলে জোটসরকার গঠন করে। কিন্তু এক বছর পরই ওই জোট সরকার ভেঙে যায়। উল্টো দুই দলের বিধায়ক ভাগিয়ে নিয়ে সরকার গঠন করে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী হন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ২০২১ সালের জুলাইয়ে তাকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় বাসব বোম্মাইকে।

এবার কংগ্রেস ও জেডিএস লড়ছে আলাদাভাবে। দিল্লির আম আদমি পার্টিও ইতিমধ্যে ৮০ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তবে বিরোধী ঐক্যের খাতিরে দিল্লির শাসক দল যেভাবে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে তারা কর্ণাটকের ভোটে কতটা লড়াইয়ে থাকবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এদিকে, এবারই প্রথম কর্ণাটকে বিজেপি প্রধান ইয়েদুরাপ্পা নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি কংগ্রেস কর্ণাটকে জিততে পারে তবে দলটির জন্য তা দারুণ কাজের হবে। এতে দলীয় কর্মীদের উৎসাহ লাফিয়ে বাড়বে এবং রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ ও ছত্তিসগড়ের মত ভারতের উত্তরের প্রদেশগুলোর বিধানসভা নির্বাচনে দলকে জেতাতে তারা জানপ্রাণ দিয়ে লড়বে। এ বছরের শেষ দিকে ওই প্রদশেগুলোতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।